সিটিএন ডেস্ক :
দুর্বৃত্তের গুলিতে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি নিহতের ঘটনায় দায়ের মামলায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাসহ দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারক আবু তালেব এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই দুজন হলেন- রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন নবী খান বিপ্লব ও কুনিও হোশির বাড়িওয়ালা জাকারিয়া বালার শ্যালক ও জাপানি প্রকল্পের সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরা। এদের মধ্যে বিপ্লব স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের ভাই।
গত ৩ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের দিনই মোট ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। কুনিও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে।
শুনানি শেষে বিচারক আবু তালেব ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আমরা হত্যাকাণ্ডে এই দুজনের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হয়তো আরো তথ্য পাওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে ৬৬ বছর বয়সী ওই জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনজন মুখোশধারী তাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে আসার পর রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন কুনিও হোশি। সেখানে তিনি জমি ইজারা নিয়ে ঘাস ও বীজ উৎপাদন করতেন।
হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশ বিপ্লব ও হীরা ছাড়াও রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, বাড়িওয়ালা জাকারিয়া, স্থানীয় রিকশাচালক মোন্নাফ আলী ও আলুটারি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে মুরাদ হোসেনকে আটক করে।
এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেল্লা হত্যার মতই কুনিও হোশি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে টুইট করে।
তবে এই হত্যাকাণ্ডে আইএসের সংশ্লিষ্টতার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।