সিটিএন ডেস্ক:

খালেদার গাড়ি আইনের চোখে খালেদা জিয়া এখন ‘পলাতক’ আসামি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি গুলশানে তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে আদালতে আত্মসমপর্ণ না করায় তার অনুপস্থিতিতেই মামলার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় তাকে এখন পলাতক আসামি বলা যায় বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় টানা কয়েকটি ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩। একই মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৪ মার্চ আদালতে হাজির করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া ৬৩ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ৭টি দিবস আদালতে হাজির ছিলেন।

খালেদার আইনজীবীরা ওই মামলার বিচারক পরিবর্তন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।

এ কারণে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত বুধবার খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমপর্ণ করবেন নাকি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করবেন এ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছিল। তার আইনজীবীরা বলছিলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং জামিন পেয়ে নির্বিঘ্নে তার কার্যালয়ে ফিরে আসা সরকার নিশ্চিত করলে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে রাজি আছেন।

তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার আদালতেই যাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছেন। আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

এখন আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, পরোয়ানা বহাল থাকায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে আইনগত কোনো বাধা নেই। আইনের চোখে তিনি এখন ‘পলাতক’। আদালত তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে হাজির না করে তার পক্ষে আইনজীবী কর্তৃক মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত দুটি আবেদন নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর তারেক রহমান আগের মতোই আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত।

এদিকে বিচার পরিবর্তন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা দুই আবেদনের শুনানি আগামী ১২ মার্চ নির্ধারণ করেছেন আদালত।


শেয়ার করুন