গোমাতলীতে জমি বিরোধ, ২০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ

downloadনিজস্ব প্রতিবেদক॥

সদরের পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার সন্ত্রাসীরা শনিবার মগরিবের পর ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। এতে এলাকাবাসীসহ বিরোধীয় জায়গার মালিকরা ভীতির মধ্যে জীবনযাপনসহ প্রাণহানীর আশংকা করছে। গুলিবর্ষনের খবর পেয়ে ঘটনার দিন এশারের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার ও শনিবার জেলার পাঠকপ্রিয় “দৈনিক সকালের কক্সবাজার” ও “আলোকিত উখিয়ায়” “গোমাতলীতে অস্ত্রের মহড়া ঃ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা” শীর্ষক সংবাদে যাদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তারাই গুলিবর্ষণ করেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ। সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন অপরাধীদের পাকড়াও করলে ঘটনার দিন গুলি বর্ষণের ঘটনা সংঘঠিত হত না বলে মতামত প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
সূত্র মতে, প্রায় ১৫ একর লবণের জমির মালিকানা নিয়ে ২০/৩০ বছর আগ থেকে এলাকার বারডইল্যা পাড়ার সিরাজুল হকের পুত্র আবুল কালাম লেদু, মৃত জমির সিকদারের পুত্র নুরুল কবির ও আবদুর রশিদের পুত্র নুরুল আমিনের সাথে ডাকাত মোহাম্মদ ও মোক্তার আবছারের বিরোধ চলে আসছিল। নুরুল কবির ও তার গং নিজেদের পক্ষে জমির দলিল পত্র দেখাতে পারলেও মোক্তার আবছার ও মোহাম্মদ ডাকাত সন্ত্রাসী দল তাদের দলিলপত্র কোন বিচারিক বৈঠকে দেখাতে পারেনি। এ দূর্বলতার কারণে ইতিমধ্যে কোন বিচারিক বৈঠকে তারা উপস্থিত হয়নি। আরো জানা যায়, উক্ত সন্ত্রাসীরা এলাকায় বিভিন্ন ডাকাতিসহ হরেক রকমের অপরাধের সাথে জড়িত। তাদের বিরোদ্ধে মামলা করতে গেলে শারিরিক নির্যাতনসহ প্রাণহানীর হুমকি দেয়া হয় বলে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে ইতিপূর্বে কেউ সাহস করেনি। এছাড়া উক্ত অপরাধীরা হিরোইন, গাজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করছে বলেও গোপন সূত্রে প্রকাশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৮ নং ওয়ার্ডের এক ব্যবসায়ী বলেন এলাকার এক তৃতীয় শক্তি বিভিন্ন ফায়দা হাসিল করতে এ বিরোধকে দুপক্ষের মধ্যে ঝিয়ে রেখেছে। তিনি আরো জানান, গত বছর উক্ত সন্ত্রাসীরা মহেশখালীর এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত এলাকার মাঝির ঘাটের মাছ বাসায় আটকে রেখে টানা ৩দিন ধর্ষন করে। উক্ত ঘটনায় কেউ বাঁধা দিতে পারেনি। এভাবে চলতে উক্ত সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে। এ ব্যাপারে আব্দুর রহমানের ভাইয়ের সাথে বিরোধীয় জায়গার ব্যাপারে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে ২০/৩০ বছরের পরও তার দলিল পত্র রেডি হয়নি বলেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র এ,এস,আই ইমামের সাথে যোগাযোগ করা হলে গুলিবর্ষণের বিষয়টি হয়নি তবে জমির বিরোধের ঘটনার সত্যতা তিনি স্বীকার করেন। এব্যাপারে স্থানীয় ও উর্ধ্বতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।


শেয়ার করুন