মার্কিন হত্যা: টেকনাফের হামজালাল রিমান্ডে

index22নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফের বহুল আলোচিত আজিজুল হক মার্কিন হত্যার হোতা ও মামলার অন্যতম আসামী হামজালালকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মার্কিন হত্যা মামলায় তাকে এই রিমান্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রিমান্ডের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ দ্বিতীয় দিনের রিমান্ড চলছে। অনেক পরে হলেও তিন হত্যাসহ বহু অপকর্মের হোতা হামজালালকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ায় মার্কিনের পরিবার, ভুক্তভোগীসহ টেকনাফের সাধারণ মহলে স্বস্তি ও আনন্দ বিরাজ করছে। এজন্য তারা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
জানা যায়, আলোচিত আজিজুল হক তিন হত্যা, লুটপাট, ইয়াবা, মানবপাচার, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বহু অপকর্মের হোতা হামজালালকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চুনতি থেকে দু’হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। এর আগে মার্কিনকে হত্যা করে দীর্ঘদিন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। শেষে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় হামজালাল। এরপর লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। টেকনাফ থানা পুলিশ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কুখ্যাত হামজালালের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে হামজালালের দু’দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। টেকনাফ থানা পুলিশ গতকাল সোমবার প্রথম দিনে তাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আজ দ্বিতীয় দিনেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামজালালকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করায় টেকনাফ থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মার্কিনের পরিবারসহ ভুক্তভোগী মহল।
স্থানীয় সূত্র মতে, হামজালালের ভূমিদস্যুতায় বাধা দেয়ায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিন দুপুরে আজিজুল হক মার্কিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মার্কিনের ভাই হাফেজ মাওলানা নূরুল হককেও নৃশংসভাবে গুলি ও কোপানো হয়। তিনি বর্তমানে পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবন কাচ্ছেন। মার্কিনের হত্যাকাণ্ডে হামজালাল ও ও তার বোনজামাই ইয়াবা স¤্রাট ছিদ্দিক, ভাগিনা সন্ত্রাসী ফরিদ আলমসহ আরো চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী  অংশ নেয়। এর আগে হামজালালের বিরুদ্ধে শুক্কুর ও আবুল আলম নামে আরো দু’জনকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। সর্বশেষ মার্কিন হত্যার পর পলাতক ছিল হামজালাল। শুধু ইয়াবা পাচার নয়, হত্যা, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, জবর-দখলসহ আরো অসংখ্য অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে হামজালালের বিরুদ্ধে। এসব অপকর্ম করে হামলাল ও তার ভাইয়েরা অঢেল কালো টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের এই কালো সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান ভুক্তভোগীরা।


শেয়ার করুন