মহেশখালীতে

মানব পাচার : সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

1251c3cb-4c8e-4344-82f3-30274483ffceহারুনর রশিদ,মহেশখালী

মহেশখালীতে মানব পাচার : সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা টিটিডিসি হলে অনুষ্টানটি মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রজেক্ট (ইউজেডজিপি),স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে অনুষ্টিত-অনুষ্টানটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলাউদ্দীন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেখ ফরিদ আহমেদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ককসবাজার , মহেশখালী উপজেলার চেয়ারম্যামান মো:হোছাইন ইব্রাহীম, মহিলা বাইস চেয়ারম্যান জাহানারা জাহাঙ্গীর। অনুষ্টানটি পরিচালনায় ছিলেন মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আশিষ।
প্রধান অতিথি আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলাউদ্দীন খান উক্ত কর্মশালায় বলেন– যে টাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে মানুষ, তার মূল্য দিয়ে একটি পানের দোকান দিয়েও সুন্দর সংসার চালাতে পারবে দেশের মাটিতে। মানব পাচার একটি জঘন্য অপরাদ-আর এই মানব পাচারের কারনে মাতা-পিতা হারাচ্ছে সন্তানকে, স্ত্রী হারাচ্ছে স্বামীকে, সন্তান হারাচ্ছে তার পিতাকে। এমনও পরিবার আছে যার উপর পোরু পরিবার নির্ভর করে বেঁচে আছে। এই ধরনে মানুষ যদি পাচার হয়। তাহলে পোরু পরিবারে নেমে আসে দূভিক্ষ। আর এইসব পাচার হওয়া ব্যক্তিদের কারনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, ঝুকিপূর্ণ সমুদ্র যাত্রায় আহত, নিহত হয়, পাচার হয়ে শ্রম দাসত্ব’র স্বীকার হয়, পাচারকারীদের হাতে আটক হয়ে মুক্তিপণ প্রদান , আটক হয়ে অমানবিক নির্যাতন মৃত্যু হয়। সুতরাং সকলকে মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জীবনের সহায় সম্বল বিক্রি করে বুকভরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে সমুদ্র পদে পাচার না হওয়ার জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে।
উক্ত কর্মশালা অনুষ্টানের সভাপতি ইউএনও মোহাম্মদ আবুল কালাম তিনি তার বক্তব্য বলেন- মহেশখালী বদলি হয়ে আসার পর থেকে এখানকার মানুষের জীবন জীবিকার খুজ খবর নিতে গিয়ে সর্ব প্রথম বেরি আসে মানব পাচার নামক জঘন্য অপরাধটি এবং এই পাচার হওয়া মানুষ গুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কারাগারে বন্দি হয়ে মানবেত জীবন যাপন করছেন। সবচেয়ে বেশি বন্দি রয়েছে মালেশিয়ার কারাগারে। ভাগ্যেক্রমে ওই মালেশিয়ায় অবস্থান রত বাংলাদেশী একজন ফাষ্টসেক্রেটারী শাহিদা সুলতানা আছেন। চাকুরীর ক্ষেত্রে তিনি আমার পরিচিত ছিলেন। আমি মহেশখালীর সাধারণ মানুষদের স্বার্থে বিষয়টি মাথায় নিলাম- কয়েকদিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে তাহার সাথে আলাপ হল। আমি বিষযটি বলতে চাইলে তিনি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন ককসবাজার জেলার মহেশখালীসহ বিভিন্ন থানার বেশ কিছু পাচার হওয়া আদম মালেশিয়ার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছে। তখন আমি বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে শেয়ার করলাম এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর চাপানো হল। খবর পেয়ে ভোক্ত ভুগীদের আতœীয় স্বজনরা প্রতিদিনই আমার কাছে যোগাযোগ করে চলছে এবং ওই সময়ের পর থেকে বেশ কয়েকজন মালেশিয়ার কারাগার থেকে বন্দির উদ্ধার করে দেশে আনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন যে টাকায় সহায় সম্বল বিক্রি করে বিদেশ পাড়িজমাচ্ছে মানুষ। সোনালী স্বপ্নে চাকুরীর আশায় বিদেশ গিয়ে দাসত্বের স্বীকার হচ্ছে তাদের উদ্ধেশ্য বলেন- বিদেশে গিয়ে ক’জনই বা সেটেল হয়েছে। এই দেশের মাটিতে উদ্ধ্যোক্তা হয়ে ব্যবসায় করলে-বদলে যাবে জীবন মান। মানব পাচার কে না বলুন———


শেয়ার করুন