আমিরের ম্যাচে রংপুরের রুদ্ধশ্বাস জয়

ca_91826_0বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে সাকিবের রংপুর রাইডার্স। এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তামিমের অর্ধশতকে সাত উইকেটে ১৮৭ রান করে ভাইকিংস। আমির-তাসকিন-শফিউলের পেস আক্রমণের সামনে ১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে রংপুর রাইডার্স। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক লিগে ফেরা মোহাম্মদ আমির গতি আর সুইংয়ে রংপুর রাইডার্সকে কাঁপিয়ে দিলেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। প্রথম ওভারে মেডেন নেয়ার পর তৃতীয় ওভারে এসেই শেষ দুই বলে সিমন্স আর সৌম্যকে সাজঘর দেখান। শেষ দিকে উনিশতম ওভারে ফের পরপর দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন।
চিটাগাংয়ের ইনিংসের খবর পড়তে পাশের লিংকে ক্লিক করুন -সাকিবদের দরকার ১৮৮
আমিরের প্রথম শিকার সিমন্স। পঞ্চম বল অফসাইডের বাইরে রেখেছিলেন। সিমন্স রুম করে শট খেলতে যেয়ে মিডঅফে তামিমের হাতে ধরা পড়েন। পরের বলে সৌম্য সরকারকে টেনে ইয়র্কার মারেন। সম্পূর্ণ পরাস্ত হন বাংলাদেশি ওপেনার। বল লাগে প্যাডে। বল লেগ স্ট্যাম্পে থাকলেও আঙুল উঁচু করেন আম্পায়ার। ১৫ বলে ২০ করে যান সৌম্য।
পরের ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের দেখা পান তাসকিন। গুড লেন্থের বলে তালগোল পাকিয়ে লাইন মিস করেন মোহাম্মদ মিথুন। বল লাগে প্যাডে। শূন্য রানে এলবিডিব্লিউ হয়ে ফিরতে হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এই ব্যাটসম্যানকে।
বিপদের সময় দলকে টেনে তুলতে ব্যর্থ হন সাকিবও (১)। শফিউলের গুড লেন্থ বলে লেগে রুম করে কাট করতে যেয়ে চিটাগাংয়ের উইকেটরক্ষক বিজয়ের হাতে ধরা পড়েন।
১৩তম ওভারে চিগুম্বুরার তৃতীয় বলে আল-আমিন অফস্ট্যাম্পের হাতখানেক বাইরের বলে হাঁটুগেড়ে স্কুপ করতে যেয়ে প্লেডঅন হন। ফেরার আগে ৩২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এই ব্যাটসম্যান। তখন দলীয় স্কোর ৮৭।
এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে ম্যাচ বের করতে থাকেন অভিজ্ঞ মিসবাউল হক। ১৭তম ওভারে শফিউলকে পরপর দুই বলে ছয় মেরে খেলা জমিয়ে দেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। শেষ ১৪ বলে রংপুরের প্রয়োজন পড়ে ২৬।
১৯তম ওভারে পেরেরাকে শিকার করে ম্যাচে নতুন রং লাগান আমির। পেরেরা ১৭ বলে ৪৩ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন। পরের বলে রংপুরের শেষ ভরসা মিসবাহর স্ট্যাম্প ছত্রখান করেন ওই আমির। ৭৮ বলে ৬১ করেন ম্যাচসেরা মিসবাহ।
শেষ ওভারে রংপুরের দরকার পড়ে ১৪। স্ট্রাইকে ড্যারেন সামি। আরেক প্রান্তে আরাফাত সানি। তামিম ভরসা রাখেন শফিউলের ওপর।
-প্রথম বল ডট!
-পরের বলে ছয়!
-উড়িয়ে মারতে যেয়ে ক্যাচ তুলে দেন সামি।আসিফ আহমেদ তা ফেলে দেন!
-চার! শেষ দুই বলে দরকার দুই।
-সামি দুই রান নিতে যেয়ে রান আউট! শেষ বলে দরকার এক! স্ট্রাইকে সাকলাইন সজীব।
-সজীব ভুল করলে না। সোজা ব্যাটে চার! রংপুরের গ্যালারিতে উল্লাস। রাজ্যের নীরবতা ভাইকিংস শিবিরে!


শেয়ার করুন