নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়

hasiলাইফস্টাইল ডেস্ক: 

সবকিছু স্থীর থাকলেও মানুষের মন সদা চলমান। নিজেকে শাসন, বারণ, উৎসাহ, প্রশংসা, আদর-ভালোবাসা সবই সেই মন করে। নিজের ভালোলাগা ধরে রাখতে প্রতিটি মানুষের মাঝে এক ধরনের শিশুসত্ত্বা বাস করে। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এই সত্ত্বা বয়স এবং ব্যস্ততার কারণে ঢাকা পড়ে যায়। বয়সের সঙ্গে কাজের চাপ মানুষকে অনেক বেশি গম্ভীর করে দেয়। তবে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকার পরও কোনো কাজ না করতে পারার ফলাফল মানুষের জীবনের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধীরে ধীরে মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে থাকতে দরকার ভেতরের সত্ত্বাটিকে জাগ্রত রাখা। আর তাই..

মনের কথা শুনুন

নিজের মনকে কখনোই বুড়িয়ে যেতে দেয়া ঠিক নয়। ছোট বেলার মতো ছোট ছোট সুখ নিয়ে আনন্দিত থাকার চেষ্টা করুন। দায়িত্ব কর্তব্যের বেলায় সঠিক থাকা উপযুক্ত কিন্তু নিজের একান্ত সময় গুলোতে নিজেকে সেই ছোট্ট শিশুটির মতই বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানা ওয়ালা পাখি। যে পাখি দিগন্ত জুড়ে উড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চাদের সঙ্গ নিন

বাচ্চারা পবিত্রতার দারুন নিদর্শন। তাদের সঙ্গে মিশলে আপনার মনটিও অনেক বেশি পবিত্র হয়ে যাবে। কোনো ধরনের জটিলতা আপনার মাঝে কাজ করবে না। আপনার আচরণেও সহজভাব ফুটে উঠবে। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি জেগে উঠবে আর বাচ্চাদের মতই আপনার মনটি হয়ে উঠবে পবিত্র।

নিজেকেই অবাক করে দিন

আপনার পক্ষে সবই সম্ভব। এই ভেবে এমন কিছু অসম্ভব কাজ করে ফেলুন যা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। মনের মাঝে কাজ করবে প্রশান্তি। নতুন কিছু পাওয়ার ভালোলাগা আপনাকে অনেক বেশি সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

যুক্ত হোন সৃজনশীল কাজে

যারা রুটিন মাফিক কাজে অভ্যস্ত, তারা সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে বসেন। এ কারণে আপনি পারলে কিছু সৃজনশীল কাজ করে ফেলুন। আপনার যে কাজগুলো করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন। সহায়তা করুন দুর্বলদের, সামর্থ অনুযায়ী অপরকে সাহায্য করাও এনে দিতে পারে অনাবিল শান্তি।

ঘুরতে যান

মনকে প্রফুল্ল রাখতে ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের জায়গাগুলোতে। যাওয়া আসার পথে দেখবেন অনেক কিছু। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেও দেখবেন আরও। যত ঘটনা দেখা হয় তার মধ্যে উৎসাহিত, নিরুৎসাহিত, সচেতনতার অনেক বিষয় থাকে। নতুন অভিজ্ঞতা হয়। চিন্তায় পরিবর্তন আসে। নতুন করে ভাবতে শেখায় অনেক কিছু। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি কাজ করতে থাকবে, নিত্যদিনের কাজের চাপে তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে থাকবে না। মনের সুস্থতায় সার্বিকভাবে আপনিও থাকবেন সুস্থ।


শেয়ার করুন