৮ উইকেটে বাংলাদেশকে হারাল প্রোটিয়ারা

amlaবাংলামেইল:

কোন প্রতিরোধই গড়া হলো না। না ব্যাটিংয়ে, না বোলিংয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা কেন বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দল, সেটা ঠিকই তারা প্রমান করে দিল। পাকিস্তান, ভারতকে হারানোর কারণে যে আত্মবিশ্বাস জমা হয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে, সেটা যেন নিমিষেই উধাও করে দিলো প্রোটিয়ারা। টি২০ সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও জয় দিয়ে শুরু করেছে সফরকারীরা। প্রথম ওয়ানডেতে হেসে-খেলেই তারা স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

নির্ধারিত ৪০ ওভার। জয়ের জন্য দরকার ১৬১ রান। বলা চলে সহজ টার্গেটই। মিরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য এমন লক্ষ্যেই ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২টি উইকেট হারিয়েছে তারা। ৫৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে হাশিম আমলা বাহিনী। ডু প্লেসিস ৬৩ রানে আর রিলে রুশো অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে।

ওপেনিং জুটিতে সাবলিলভাবেই ব্যাটিং শুরু করে অধিনায়ক হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তবে হাশিম আমলাই একটু বেশী আক্রমণাত্মক ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই তাকে ফিরে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৫.৪ ওভারে মাশরাফির বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হাশিম আমলা। তার আগে করে যান ১৮ বলে ১৪ রান।

আমলাকে ফিরিয়ে দিলেও আরো দুই মারমুখি ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক এবং ফ্যাফ ডু প্লেসিস ঠিকই প্রোটিয়াদের জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। দু’জনের ৪৩ রানের জুটিই সেটা জানান দেয়। তবে, নাসির হোসেনকে আক্রমণে এনে শুরুতেই সফলতা পেয়ে গেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম বলেই তুলে নিলেন ডি ককের উইকেট।

নাসির বলটি অফসাইডে দেখে লোভ সামলাতে পারলেন না ডি কক। ড্রাইভ করতে গিয়ে তুলে দিলেন বাতাসে। সাব্বির রহমান উঠে আসা ক্যাচটি তালুবন্দী করতে সময় নিলেন না। ৬৫ রানে পড়ল দ্বিতীয় উইকেট।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডু প্লেসিস আর রিলো রুশোই খেলাটা শেষ করে দেন। দু’জন মিলে গড়লেন অপরাজিত ৯৯ রানের জুটি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ৭জন বোলার ব্যবহার করেও আর সাফল্যের মুখ দেখলেন না মাশরাফি।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.৩ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েনে তরুণ পেস বোলার কাগিসো রাবাদা।


শেয়ার করুন