০৫:৩৮ অপরাহ্ণ প্রবাসী সাত হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্দান। একই সঙ্গে সেদেশে নতুন করে শ্রমিক রপ্তানির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সফরত জর্দান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক ও এক সমঝোতা চুক্তি সই শেষে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার। দেশটিতে বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
ইফতেখার হায়দার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময় ট্যুরিস্ট ও অন্যান্য ভিসায় গিয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার বাংলাদেশি আর ফিরে আসেনি। তারা অবৈধভাবে দেশটিতে কর্মরত থাকায় বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জর্দান সরকার। যার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে কনস্ট্রাকশন ও কৃষি খাতে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্তও তাদের রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা জর্দানেই সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছে। দেশটির সঙ্গে আমাদের পূর্ব থেকেই চুক্তি রয়েছে। এ চুক্তির জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের অংশ হিসেবে এ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, প্রশিক্ষণ, মেডিকেল চেকআপ ও অবৈধ পুরুষ শ্রমিকদের বিষয়ে কথা হয়েছে।’
সচিব জানান, নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো মেডিকেল চেক আপ অনেক ক্ষেত্রেই জর্দানের চেক আপের সঙ্গে মিল থাকে না। প্রতিনিধি দলের এ বিষয়টিতে উদ্বেগের কারণে মেডিকেল চেক আপ ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেডিকেল চেক আপের সফট কপি বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও জর্দানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। শ্রমিকরা যাওয়ার পর তাদের হার্ড কপির সঙ্গে সফট কপি মিলিয়ে দেখা হবে।
সফরত জর্দানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ও আন্তজার্তিক বিষয়ক গর্ভনর ওয়ালিদ আবেদা বলেন, ‘বৈঠকে আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, মেডিকেল ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছি। মেডিকেল চেক আপের বিষয়টি উভয় দেশের সমন্বয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণে ভবিষ্যতে প্রতিনিধি দল আসবে ও আমাদের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সফররত পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মান, মেডিকেল চেক আপ প্রক্রিয়া ও শ্রমিক বাছাইয়ের প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে গত ২৯ মার্চ ঢাকায় এসেছে জর্দানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এতে দেশটির স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি রয়েছে।
