মহেশখালীর

৬ ইউপি নির্বাচনে ২০ কেন্দ্রে সংঘর্ষ, গুলিতে নারী সহ আহত-৪০

03 copyএম বশির উল্লাহ, মহেশখালী

২২ মার্চ মহেশখালীর ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গল বার সকাল ৮ টা থেকে সুষ্টু ভোট গ্রহন শুরু হলেও দুপুর ১টা থেকে কেন্দ্র দখলের মহাউৎসব শুরু হয়। বড় মহেশখালীর মকরিয়া কাটা একে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্বগিত ঘোষনা করেছে প্রশাসন।

উপজেলা হোয়ানক, বড় মহেশখালী, কুতুবজুম , ছোট মহেশখালী ও ধলঘাটায় ব্যাপক সংর্ঘষ হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিণী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সর্মথকের সাথে। এসব ঘটনায় ২০টি কেন্দ্রে সংর্ঘষে নারী সহ ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে রেপার করেছে। যে সব কেন্দ্রে ঘটনা হয়েছে।

হোয়ানক ইউনিয়নে হরিছড়া স:প্রা: বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালাগাজির পাড়া উলুম মাদ্রাসা, টাইম বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বানিয়া কাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বড় মহেশখালী বালিকা বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয়, মকরিয়া কাটা একে খান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফকিরাঘোনা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা। কুতুবজোম নয়া পাড়া কেন্দ্র, তাজিয়া কাটা সাইক্লোন সেন্টার, খোন্দকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছোট মহেশখালী উত্তর কুল আজিজিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, মুদিরছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মহেশখালী আর্দশ উচ্ছ বিদ্যালয় সহ আরো বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংর্ঘষের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির কয়েকটি কেন্দ্রে সংর্ঘষ হলে ও বড় ধরনের কোন সংঘাত হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে কুতুবজুমের তাজিয়া কাটা সাইক্লোন সেল্টারে এস আই মুছার সাহসিকতার কারনে ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারেনি বিএনপি প্রার্থীরা। তিনি এসময় ১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে কোন রকমে কেন্দ্র রক্ষা করেছে।
ইউপি নির্বাচনে সংর্ঘষে আহতরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আসম জাহিদুল হক নাহিদ (৩০), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ বাবুল (৪০), বিএনপির সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদ(৫০), উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ওয়াজেদ আলী মুরাদ(৩০), মাসুন ফারভেজ রানা(২৫), জাফর আলম(৭০), খাইরুল আমিন(৩০), কবির আহমদ (৩০), ইয়াছির আরাফাত(৩২), মো: আজিজুল হক(৩০), রাহিদ সরওয়ার (১৭), মীর কাসেম (৪০), অলি আহমদ(৫৫), মাইমুনা খাতুন (৭৫), আমির হোসেন (২৮), জমির উদ্দিন(২৫), ছৈয়দ নুর (২৮), আব্দু রশিদ (৫০), সানি (১৪), নুরুল আলম (৪০), আলমগীর (২৮), আব্দুল করিম (৩০), দিলোয়ারা বেগম (৩০), নুরুল কব্রি (২২), মো: হোসেন (৪৫), আনছারুল করিম(৫০), নাছির উদ্দিন (৩৬), মোরশেদুল ইসলাম (২৫), সাবেকুন্নাহার(৫৫), ছৈয়দ হোসেন (২৩), বাবুল (২), মো: সোহেল (২৩), আব্দুল মাবুদ(২৯), মো: একরাম (২৫) সহ ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে মহেশখালী হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। বেশি সংখ্যাক আহতের গায়ে গুলি আঘাত রয়েছে।
। জানা গেছে, বড় মহেশখালীতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী শরীফ বাদশার সমর্থক, ছোট মহেশখালীতে আওয়ামীলীগের জিহাদ বীন আলীর সর্মথক, হোয়ানকের মোস্তফা কামালের সমর্থক, ধলঘাটা কামরুলের সমর্থক, কুতুবজুমে আওয়ামীলীগের মোশারাফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা কেন্দ্র দখলের জন্য চেষ্টা চালায় । অপর দিকে হোয়ানকের বিএনপির প্রার্থী এনামুল করিম , কুতুবজুমের বিএনপির প্রার্থী এম সফিউল আলম দুুপুরের দিখে মৌখিক ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমন্ময়ক আবুল কালাম তা অস্বীকার করেন।


শেয়ার করুন