২০ হাজার টাকা মুক্তিপনে মুক্ত মাহবুব

DSC00530মুফিজুর রহমান, বাইশারী :
বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে হিমছড়ি ঢালায় গত সোমবার (৩ জুলাই) বিকাল ৩ টায় নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে নানার বাড়ী মহেশখালী বেড়াতে যাওয়ার পথে অপহরন হওয়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিন বাইশারী গ্রামের আব্দুল মোনায়েমের পুত্র মাহবুবুর রহমান (২৮) অবশেষে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুর ১ টায় মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পর কক্সবাজার সদর উপজেলার ভোমারিয়া ঘোনা নামক স্থানে অপহরন চক্রের সদস্যরা তাকে ছেড়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার পূর্বক বাইশারী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অপহৃত মাহবুবের নিকট অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জানায়, অপহরনের পর থেকে অনাহারে ছিল সে। তার হাত পিছমোড়া করে এবং চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখত। বাড়ী থেকে কেউ ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলেই চলে নির্যাতন। যাতে বাড়ীর লোকজন মারধরের চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ী মুক্তিপনের টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
অপহৃত মাহবুবের বড় ভাই মফিজুর রহমান অপহরনের পর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট মোবাইল ফোনে এবং এলাকার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার ভাইকে উদ্ধারে আকুল আকুতি জানায়। কিন্তু প্রশাসন এগিয়ে আসেনি মাহবুবকে উদ্ধার করতে। বাধ্য হয়ে অপহরকারীদের সাথে চলে দরকষাকষি। প্রথমে ১ লক্ষ টাকা দাবী করলেও শেষ পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার মুক্তিপনের বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
সাধারন মানুষের প্রশ্ন ? তবে কি অপহরনকারীরা এভাবে অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে ? সাধারন লোকজন তাদের জমি, শেষ সম্বল বসত ঘরটিও বিক্রি করে এসব অপহৃতদের উদ্ধারে মুক্তিপন দিতে থাকবে ? আর কত সহায় সম্বল হারা হবে দুই ইউনিয়নে বসবাসকারী লক্ষাধিক মানুষকে। এর কি পরিত্রান নেই। অপহরন, ডাকাতি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে চেয়ে আছে ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কে চলাচল করা হাজার হাজার যাত্রী ও স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। যাতে তারা নির্ভিঙে, নিরাপদে চলাচল করতে পারে।


শেয়ার করুন