১৪০০ বছর পরেও ইয়াজিদ এখনো আছে!

nisan-400x225সিটিএন ডেস্ক:
ইমাম হোসেনকে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে হত্যার ১৪০০ বছর পরেও এখনো ইয়াজিদ আছে! সেই ইয়াজিদরাই তাজিয়া মিছিলে হামলা চালিয়েছে। আর যিনি মারা গেছেন তাকে ‘হোসেন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে আসা ওহাব নামের শিয়া সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি।
শনিবার সকালে হোসেনি দালানের সামনে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওহাব এ কথা জানান।
ওহাব বলেন, ১৪০০ বছর আগে হোসেন ইসলামের জন্য শিরচ্ছেদ হয়েছিলেন ফোরাত নদীর তীরে। ইয়াজিদের দল হোসেনকে শহীদ করেছিল। আজকে এতো বছর পরেও সেই ইয়াজিদের দল হোসেনদের পেছনে লেগেই আছে।
ওহাব বলেন, যারা বোমা হামলা চালিয়েছে, তারা ইয়াজিদের গোষ্ঠী। যুগে যুগে এ রকম ইয়াজিদ থাকবে। ইয়াজিদদের মেরেই হোসেনদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। সাজ্জাদুল হক সানজু যিনি মারা গেছেন। আজকের দিনে সাজু একজন হোসেন। তিনি মরেননি বরং তিনি শহীদ হয়েছেন।
বোমা হামলায় যেসব নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন তাদেরকে হোসেনের বংশধর উল্লেখ করে ওহাব বলেন, তারা হোসেনের বংশধর হয়ে বেঁচে থাকবেন। তাদের জন্য দোয়া করি, তাদের ঈমানি শক্তি যেন আরো শক্তিশালী হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক লোকজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সানজু নামের একজন মারা গেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতের মধ্যে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের রক্ত দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছু লোককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আব্দুল কাদের জিলানী নামের একজনকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। বোমা বিশেষজ্ঞ দল বিস্ফোরণস্থান ঘিরে তদন্ত করছে। ঘটনার পরপরই ওই এলাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল জিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাইজিং বিডি থেকে


শেয়ার করুন