১২ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারী

20160210_145814 copyশফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার

পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রনের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়ায় শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারী । ইতিমধ্যে জনবল নিয়োগসহ অন্যন্য আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করা হয়েছে। উখিয়া উপজেলা শুমারী খানা গণনাকারী হিসেবে মোট ১১৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি এলাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৭ জনকে। গতকাল বিকাল ৩ টায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয়ে রোহিঙ্গা শুমারী সংত্রুান্ত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানা গেছে।
সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এক প্রভাবশালী কর্তৃক রোহিঙ্গা শুমারীতে অন্তভূক্তি নিয়ে রীতিমত বানিজ্য শুরু করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চিহ্নিত কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা। রোহিঙ্গা মাঝিদের নেতৃত্বে কয়েকটি গ্রুপ রোহিঙ্গাদের সরকারের করা তালিকায় অন্তভূক্তির কথা বলে মিয়ানমার থেকে দলে দলে রোহিঙ্গাদের এদেশে নিয়ে আসছে। জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে অর্ন্তভুক্তির কথা বলে মিয়ারমার থেকে নির্ধারিত কযেকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের বস্তিতে ঢুকাচ্ছে নেতা নামধারী ৪জন রোহিঙ্গা এরা হলেন-আবু ছিদ্দিক প্রকাশ চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ নুর, মনিরুজ্জামান এবং আব্দুল মাজেদ। এক কথায় কন্ট্রাকের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে এদেরকে আনা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রলোভন। ফলে উখিয়া ও পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে হঠাৎ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। এছাড়া স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কতিপয় এনজিও সংস্থার রোহিঙ্গা বস্তি এলাকায় ঢালাও ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করার কারনে লোবে পড়ে রোহিঙ্গারা এদেশে অনুপ্রবেশ করছে বলে স্থানীয় জনগনের অভিমত। গতকাল অনুষ্টিত সভায় এ বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন উদ্দিনের সভাপত্বিতে অনুষ্টিত সভায় হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু অভিয্গে করে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রন না থাকার কারনে উখিয়া উপজেলার সর্বত্রে ইয়াবা, গাজা, মদ, মানবপাচার, অস্ত্র ব্যবসা বেড়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের তালিকাভূক্ত করার জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান। কিন্ত রোহিঙ্গাদের তালিকায় অন্তভূক্তির জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের তৎপরতায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সভাপতির বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, রোহিঙ্গা শুমারী চলাকালীন অবস্থায় নতুন করে যাতে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে আপনাদের। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন. এনজিও সংস্থা আইওএম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আসিফ মনির, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মাহমুদুল হক, ডিজিএফআই প্রতিনিধ মিজান, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীন, সাবেক অর্থ সম্পাদক শফিক আজাদ, পরিসংখ্যান সহকারী নুরুল কবির, রাসেল উদ্দিন, মিজানুর কবিরসহ ডিজিএফআই, এনএসআই, বিজিবি, উখিয়াসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাবৃন্ধ।


শেয়ার করুন