০২:৫৯ অপরাহ্ণ 
সিটিএন:
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাব, টানা বৃষ্টি ও নিম্নচাপের কারনে ১০ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের নৌযান চালু হয়েছে। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটের সব ধরনের নৌযান চলাচল করতে অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ স্থলবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্রের এস.আই সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় গত দশ দিন নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রোববার সকাল থেকে সাগর ও নদী স্বভাবিক হয়ে যাওয়ায় টেকনাফ-মিয়ানমার রুটের নৌযান ও যাত্রী পারাপার চালু করা হয়েছে। এতে এই রুটের চলাচলকারীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
টেকনাফ-মিয়ানমারের রুটের নৌযানের মাঝি দিল মোহাম্মদ বলেন,গত ২৩ জুলাই থেকে এ রুটে নৌযান বন্ধা থাকায় সংসারে দুর্দিন শুরু হয়। কারণ এ রুটে নৌযান চালিয়ে আমারা সংসার চালাই।
এদিকে, টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি আবু তালেব বলেন,দশ দিন বন্ধ থাকার পর আমরা এ রুটে চলাচল করতে পারছি। এ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। এমনকি অসুস্থ লোকজন সুচিকিৎসার জন্য টেকনাফে আসতে পারেনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সমুদ্র ও নাফনদী নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় টেকনাফ উপজেলার সকল নৌযান চলাচল করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের কক্সবাজার স্টেশনের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, শনিবারও সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছিল রোববার থেকে স্বভাবিক হয়ে গেছে।
