১০২ জন ‘বাংলাদেশী’কে উদ্ধারের দাবি মিয়ানমার নৌবাহিনীর

troler_0সিটিএন ডেস্ক

মিয়ানমার নৌবাহিনী ১০২ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধারের দাবি করেছে। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। তারা এক মাস ধরে থাই ও মিয়ানমার সীমান্তের ওই সাগরে অবস্থান করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, গত ৩০ জুন থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ওইসব অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। তারা থাই সীমান্তের তানিনথাই দ্বীপে অবস্থান করছিল বলে খবরে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা ওইসব অভিবাসী জুনের শুরু থেকে সেখানে অবস্থান করছিল বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নৌবাহিনী ওই অঞ্চলে আরও অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার হওয়াদের দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে (সাবেক রাজধানী) অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান তারেক মোহাম্মাদ বলেন, ‘আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়েছি।’

এছাড়া বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার সরকার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত মিয়াওয়াদ্দি নিউজপেপার বলেছে, গত ৩০ জুন কর্মকর্তারা সুয়াং গুক দ্বীপ থেকে দুই মাইল দূরে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে ওই অঞ্চলে অভিযান চালায়। এরই অংশ হিসেবে জুলাইয়ের প্রথম ভাগে ওইসব লোকদের উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা নির্যাতনের কারণে দেশটি ছেড়ে পালাচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি। সম্প্রতি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এ রকম কয়েকশ অভিবাসী উদ্ধার করা হয়েছে। যার বেশিরভাগই রোহিঙ্গা মুসলিম। কিন্তু মিয়ানমার তাদের বাঙ্গালি বলে দাবি করছে। দেশটির দাবি, রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছে।


শেয়ার করুন