‘হ্যাপি বার্থ ডে’ গানের ইতিকথা

সিটিএন ডেস্ক :

ইংরেজি ভাষার বহু পরিচিত এবং বিশ্ব জুড়ে বহুল ব্যবহৃত গান ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ গানের কথার সত্ত্বাধিকারী কেউ নন বলে রায় দিয়েছেন আমেরিকার  ফেডালের আদালতের একজন বিচারপতি।

ওয়ার্নার চ্যাপেল মিউজিক প্রতিষ্ঠান যুক্তি দেখিয়েছিল যে ১৯৮৮ সালে তারা এই গানের সত্ত্বাধিকার পায়।

কিন্তু বিচারপতি জর্জ কিং তার রায়ে বলেছেন মূল সত্ত্বাধিকার দেওয়া হয়েছিল গানটি বিশেষ যন্ত্রানুষঙ্গে পরিবেশনার জন্য। মূল গানটির সত্ত্বাধিকার ওই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি।

১৮৯৩ সালে গানটির সুর রচনা করেছিলেন কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের দুই বোন মিলড্রেড আর প্যাটি হিল। তারা গানটির নাম দিয়েছিলেন ‘গুড মনিং টু অল’।

এই গানটিই পরে হয়ে ওঠে ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ যা বিশ্বের সব প্রান্তে মানুষের জন্মদিনে গাওয়া হচ্ছে বহু যুগ ধরে।

গানটির ইতিহাস নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করার সময় ওয়ার্নার চ্যাপেল মিউজিক গানটি ব্যবহারের জন্য তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কাছে দেড় হাজার ডলার সত্ত্ব বাবদ দাবি করলে তারা সংস্থার দাবি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন।

তারা বলেন, গানটি দীর্ঘ সময় ধরে সারা দুনিয়ার মানুষ ব্যবহার করছেন এবং এর জন্য সত্ত্ব বাবদ অর্থ দাবি করা অযৌক্তিক।

প্রতিষ্ঠানটি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপন ও নানা অনুষ্ঠানে এই গানের ব্যবহার বাবদ প্রতি বছর দুই মিলিয়ন ডলার করে অর্থ আয় করেছে বলে বলা হচ্ছে।

বিচারক বলেছেন, গানটির কথার জন্য কখনই ওয়ার্নার চ্যাপেল মিউজিক সংস্থাকে সত্ত্ব দেওয়া হয়নি।

তথ্যচিত্র নিমার্তাদের আইনজীবী বলছেন, এবার মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা দাবি জানাবেন ওয়ার্নার চ্যাপেল মিউজিক যাদের কাছে এই গান বাবদ অর্থ নিয়েছে তাদের সকলের অর্থ যেন ফিরিয়ে দেয়।

সূত্র: বিবিসি

 


শেয়ার করুন