হ্নীলা হাইস্কুলে সংস্কার কাজে ৩ বছর পার

হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :
টেকনাফের হ্নীলা হাইস্কুলে সাড়ে ৫২লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্রেণীকক্ষ,বাথরুম,দ্বিতল ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ ঠিকাদারের অবহেলায় ৯মাসের পরিবর্তে ৩ বছর পরও শেষ হয়নি। এতে করে ঐ স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

২০১৩-২০১৪ইং অর্থবছরে সরকারের সংশিষ্ট দপ্তর হ্নীলা হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের ভবন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ৫২লক্ষ ৬৩হাজার ৩০টাকা ৬২পয়সা বরাদ্ধ দিয়ে শ্রেণী কক্ষ, বাথরুম, দ্বিতল ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ ২৭০দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বিগত ২৭/০২/২০১৩ইং কার্যাদেশ প্রদান করেন।

যাবতীয় টেন্ডার কার্যক্রম শেষে রামুর চেইন্দাস্থ কেইশ্যাঘোনার বাসিন্দা প্রোপাইটর জাবেদ ইকবালের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হোসনা এন্টার প্রাইজ (ইন্টার ন্যাশনাল) গত ১০/০৫/২০১৩ইং উক্ত ঠিকাদারী কাজ শুরু করেন।

২৭০দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা থাকলেও মেয়াদ পার হয়ে অতিরিক্ত ৯১৫দিন পার হলেও সংশিষ্ট ঠিকাদারের মাথাব্যথা না থাকায় হ্নীলা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের মনে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপশি অবকাঠামো সংকট হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এই ব্যাপারে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার রজব দাশের নিকট জানতে চাইলে বলেন-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় অল্প সংখ্যক লোক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ভবনটি নির্মাণ ও সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে। এই ব্যাপারে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাল-পরশুর মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে জানান। অন্যথায় উক্ত ঠিকাদারের টেন্ডার বাতিল করে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানান।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার জাবেদ ইকবালের নিকট জানতে চাইলে বলেন-উক্ত কাজ শুরু হওয়ার পর পরই নকশা পরিবর্তন হওয়ায় উক্ত প্রকল্পের কাজে ধীরগতি নেমে আসে। এখন অতিবৃষ্টির কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর পরই দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করা হবে।

হ্নীলা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন-ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে বিলম্ব করায় ২৭০দিনের পরিবর্তে ৩বছর ৩মাস পার হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি। এই কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি তদারকি করে দ্রুত এই উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


শেয়ার করুন