হ্নীলা বালিকা স্কুলে ছাত্রীদের খোলা জায়গায় পাঠদান

inনিজস্ব প্রতিনিধি

হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারীভাবে বরাদ্ধকৃত সাইক্লোন শেল্টার কাম শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ কাজ নিদিষ্ট মেয়াদের ৮মাস পরও সম্পন্ন না হওয়ায় ছাত্রীদের পর্দা টাঙ্গিয়ে খোলা জায়গায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। ঠিকাদারের খাম-খেয়ালী কর্মকান্ডে জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়-নারী শিক্ষা প্রসার ও দূর্যোগে মানুষের আশ্রয় নেওয়ার জন্য কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্ধ দেন। হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাইক্লোন শেল্টার এবং কাম শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের জন্য উখিয়ার কাজী জসিম উদ্দিন নামে এক ঠিকাদার এই কাজটি পায়। যথা নিয়মে ২০১৪সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং ২০১৫সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের ৭০শতাংশ কাজ শেষ হলেও ঠিকাদার পক্ষ কৌশলে কালক্ষেপন করে চলেছে। এভাবে ৮মাস অতিবাহিত হলেও এই ভবন নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শ্রেণী কক্ষের অভাবে উক্ত ভবনের নিচে পর্দা টাঙ্গিয়ে ক্লাস নিচ্ছে। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে শীঘ্রই বর্ষাকাল আসলে ছাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
এই ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল মন্নানের নিকট জানতে চাইলে বলেন-এমপি আব্দুর রহমান বদির সহায়তায় পাওয়া ভবনটি দ্রুত নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে বার বার তাগাদা দেওয়া হলেও তিনি নানা কৌশলে কালক্ষেপন করে আসছে। এই ভবন দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হলে আসন্ন বর্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে জানান।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ মুহাম্মদ রফিক উদ্দিন বলেন-আমার বাবা মরহুম আব্দুস সালাম কোম্পানী অত্র এলাকার অবহেলিত নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। সাবেক দুই এমপি আলহাজ্ব শাহজহান চৌধুরী ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পাশাপাশি বর্তমান এমপি আব্দুর রহমান বদির আন্তরিক সহায়তায় এই বিদ্যালয়টি এখন নারী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তিনি এই বিদ্যালয়ের জন্য দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে অত্র এলাকার জনসাধারণ ও স্কুলের জন্য এই ভবনটি বরাদ্ধ দেন। তিনিও ঠিকাদারকে কয়েকবার মৌখিক তাগাদা দেন। তারপরও ঠিকাদার ঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমান এমপি এই ভবনটি দ্রুত উদ্বোধনের জন্য বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও কর্ণপাত করছেনা। এই বিদ্যালয়ের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এই ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপার ভাইজার নুরুল আবছার বলেন ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্বেও ভবনটি বুঝিয়ে দিতে পারেনি। এই ব্যাপারে ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। তাতেও কোন ধরনের ফল না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ঠিকাদার কাজী জসিম উদ্দিন মুঠোফোন (০১৮৮২০৪৭২৮৯) নং সাথে কয়েক বার যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলে রিসিভ না হওয়ায় কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহল জনসাধারণ এবং শিক্ষঅর্থীদের স্বার্থে এই ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।


শেয়ার করুন