হোয়ানকে হামলায় মহিলাসহ আহত ৪: স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট

wwwwwনিজস্ব প্রতিবেদক: 
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকে বসতভিটা দখলে বাধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ চারজনকে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এতে গুরুতর জখম হয়ে আহত হয়েছে ওই চারজন। বুধবার সকাল নয়টার দিকে ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মফিজুর রহমানের স্ত্রী জান্নাত খাতুন (৭০), পুত্র লোকমান (৪০), জিয়াউর রহমান (৩৫), নেছার (২৫)। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুফিজুর রহমানের ক্রয়কৃত একটি বসতভিটা দীর্ঘদিন দখলের পাঁয়তারা করছে পাশের মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র আজিজুল হক বদন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে কয়েক বার বিচার-সালিশ হয়েছে। সব সালিশে মুজিবুর রহমানের পক্ষে রায় হয়েছে। রায় পেয়ে বছরখানে আগে ওই বসতভিটা বুঝে নেন মুফিজুর রহমান। কিন্তু তারপরও ক্ষান্ত হননি বদন। তিনি তার পুত্ররা প্রায় সময় ওই বসতভিটাটি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গত বুধবার বদন এবং তার পুত্র নোমান, মান্নানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আকস্মিক ওই বসতভিটা দখল করতে আসে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা বসতভিটার মালিক মফিজুর রহমানের স্ত্রী জান্নাত খাতুন (৭০), পুত্র লোকমান (৪০), জিয়াউর রহমান (৩৫), নেছারকে (২৫) নির্মমভাবে কোপায়। এসময় সন্ত্রাসীরা বসতভিটা থাকায় মুফিজুর রহানের বসতবাড়ি ভাংচুর করে এবং বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ অন্তত একলাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে তান্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা সবাই সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে জানতেই চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, ‘আমি ঘটনাটি অবহিত হয়েছি। হামলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’


শেয়ার করুন