হুমকিদাতাদের একজন মডেল নায়লা নাঈমের সাবেক স্বামী

গুলশান হামলার পর বাংলায় হুমকি দিয়ে ইসলামিক স্টেটের যে তিন তরুণ জঙ্গি ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাদের অন্য দু’জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

146742_1মুখভর্তি দাঁড়িওয়ালা যুবকটির নাম তুষার। প্রয়াত মেজর ওয়াশিকুর আজাদের ছেলে সে। ২০১১ সালে নায়লা নাঈমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে ছাড়াছাড়ি হয় তাদের।

পেশায় দন্ত্য চিকিৎসক তুষার গত প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং রাজউক থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। বারিধারার ডিওএইচএসে তাদের বাসা।file

ভিডিওতে মুখঢাকা যুবক তৌসিফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সাবেক ছাত্র। বিবিএ ১৮ ব্যাচে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শেষ না করেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন তিনি। জেএমবি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে পরিবারের পক্ষ থেকে অস্ট্রিয়া পাঠানো হয়। তবে সেখানে তিনি নেই বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছেন।

fileভিডিওতে অপর যে যুবককে দেখা গেছে, তিনি তাহমিদ রহমান শাফি ক্লোজআপ ওয়ান তারকা। ২০০৭-০৮ সালে ক্লোজআপওয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম দিকে ছিলেন তিনি। তাহমিদ সাবেক নির্বাচন কমিশনার সফিউর রহমানের ছেলে বলে তার সাবেক সহপাঠী ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন।

২০০২ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং আইবিএ থেকে এমবিএ করেন তিনি। পরে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোনে চাকরি নেন তাহমিদ। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সেখানে ইস্তফা দেন।

একটি সরকারি সূত্র বলছে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে একবার বাবার কাছে অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হন তাহমিদ। পরে স্ত্রীকে নিয়ে সিরিয়ার যুদ্ধ কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তিনি।

সাইট ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশ করা ভিডিওতে তাহমিদকে প্রথমে বাংলায়, পরে ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। এতে তারা মুসলিম প্রধান বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন।

রাতে একটি ব্যস্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে করা ওই ভিডিওতে তারা বাংলাদেশে ‘ইসলামিক স্টেটের’ ছড়িয়ে পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভিডিওটি ইসলামিক স্টেটের কথিত রাজধানী সিরিয়ার রাকা থেকে ধারণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিওতে ঢাকায় হামলাকে ‘গতকালের’ ঘটনা বলে মন্তব্য করায় ধারনা করা হয় এটি গুলশান হামলার পরদিন রাতে ধারণ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘এবং তোমরা গতকাল বাংলাদেশে যা দেখছো তা ঝলক মাত্র। এটা চলতেই থাকবে এবং চলতেই থাকবে এবং চলতেই থাকবে, যতক্ষণ না তোমরা পরাজিত হও আর আমরা জয়ী হই এবং বিশ্বব্যাপী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং তোমরা এটা কখনো বন্ধ করতে পারবে না।’


শেয়ার করুন