১শ কোটি টাকা আত্নসাৎ

হাসিনা দৌলার দুর্নীতি অনুসন্ধানে টিম গঠন

Accঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের নামে ১শ কোটি টাকা আতœসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সম্প্রতি কমিশন এ অনুসন্ধান টিম গঠন করে।
দুদকের উপ-পরিচালক (সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১) মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিমকে নতুন করে অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাসিনা দৌলার দুর্নীতি অনুসন্ধানে নতুন টিম গঠন সংক্রান্ত কমিশন আদেশের অনুলিপি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের সব কাজের বিলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রশাসক। ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেন তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদনেও বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের নামে অর্থ ছাড়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, জেলা প্রশাসক হাসিনা দৌলার স্থানীয়ভাবে কথিত পিএস বোয়াইল ধামরাইয়ের মাহবুবুর রহমান (মনি) বিভিন্ন পিআইসির সভাপতির নামে এবং তার নিজ নামে স্বাক্ষর করে এক হাজার ৫০টি চেকের মাধ্যমে মোট নয় কোটি ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরে তিনি এ চেকগুলো তুলেছেন।
অন্যান্য বছরেও অনুরূপ চেক গ্রহণ করেন তিনি। চেক রেজিস্ট্রার নথি পরীক্ষা করে এ চিত্র দেখা গেছে। কোনো অথরিটি ছাড়াই তিনি ওই অর্থ তুলেছেন। পিআইসির মাধ্যমে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলোয় ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল কবরস্থান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো কাজ না করেই প্রায় দেড় বছর আগেই প্রথম চলতি বিলে কাজের ৭৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।
১০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ঢাকার নবাবগঞ্জ অফিসার্স ক্লাব সংস্কার প্রকল্পে কোনো সংস্কারকাজ না করেই জেলা পরিষদ থেকে চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়। আর ২৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের নবাবগঞ্জ আধুনিক মার্কেট মেরামত প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিরাট অংকের অর্থ আতœসাৎ করা হয়। এভাবে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১শ কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটিতে যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী আহ্বায়ক, উপ-সচিব (উপজেলা অধিশাখা) ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সদস্য সচিব ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরফুল আনাম খান কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক (সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১) মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্যরা হলেন— প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম ও সহকারী পরিচালক এ কে এম ফজলে হোসেন। এর আগে, দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা এবং এরও আগে দুদকের আরেক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অনুসন্ধান করেন।

সিটিএন২৪.কম/ম.ন./০৬


শেয়ার করুন