হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির জন্মদিন আজ

bongobondhu-400x248সিটিএন ডেস্ক:
১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হন কিশোর বয়স থেকেই। পরযায়ক্রমে বাংলার মানুষের কাছে হয়ে উঠেন প্রিয় মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা এবং জাতির পিতা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিখ্যাত এ নেতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি না অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়াও মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এবং শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো দুদিনব্যাপি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের (ছাত্র সংসদ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধীদল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলার অবিসংবিদত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। লাভ করেন ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি ।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় পেলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭১-এ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর পরম আকাক্সিখত বিজয় ও স্বাধীনতা পায়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসির রায় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয়।
গত শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে উঠা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। তাঁর প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


শেয়ার করুন