হজ : হাতছানি দিচ্ছে খোদাপ্রেমীদের

8978452সিটিএন ডেস্ক:

কড়া নাড়ছে হজের মৌসুম। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এবারের হজ উদ্যাপিত হতে পারে ২২ বা ২৩ সেপ্টেম্বর। লাব্বাইক লাব্বাইক, ‘আমি উপস্থিত’ হে আল্লাহ ‘আমি উপস্থি’ বলতে বলতে কালো ঘরের প্রেমিকেরা সাদা পোশাকে এগিয়ে যাবে কাবার দিকে, পেয়ারা নবির রওজার দিকে, সবুজ গম্বুজের ছায়া, কালো পাথরে চুমু আর কাবার গিলাফ জড়িয়ে আল্লাহর প্রেমে ডুবে যাবে লাখো মুসলিমের কাফেলা। কাবার মুসাফিরদের জন্য জানাচ্ছি হজে যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য। ধারাবাহিক আলোচনার প্রথমে থাকছে কোরান-হাদিসের দৃষ্টিতে হজ।
কোরানের আলোকে হজ
ইন্নাআওয়ালা বাইতিউ উদিয়া লিন্নাসি লাল্লাজি বিবাক্কাতা মোবারাকাউ ওয়াহুদাল্লিল আলামীন। ফিহি আয়াতুম বাইয়িনাতুম মাকামু ইবরাহিমৃ। ‘নিশ্চয়ই মানবজাতির কল্যাণের জন্য পৃথিবীর প্রথম যে ঘরটি নির্মিত হয়েছিল তা মক্কায় অবস্থিত। এ ঘর জগতের জন্য হেদায়েত এবং বরকতময়। স্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে এ ঘরে, হজরত ইবরাহিমের মর্যাদাপূর্ণ এ ঘরে যে প্রবেশ করে সে নিরাপত্তাপ্রাপ্ত। সামর্থ্যবানদের জন্য এ ঘর প্রদক্ষিণ করা অবশ্য কর্তব্য’ (সূরা : আল ইমরান, আয়াত : ৯৬-৯৭)।
হাদিসের আলোকে হজ
হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টির জন্য হজব্রত পালন করল এবং কোনো অশ্লীল কাজ করল না, সীমালঙ্ঘন করল না, সে সদ্যজাত শিশুর মতোই নিষ্পাপ হয়ে বাড়ি ফিরল। (মিশকাত ১/২২১)
কোরানের এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় প্রত্যেক সামর্থ্যবানদের জন্য একবার হলেও হজ করা ফরয। আর নবি সা. এর হাদিসটি দ্বারা বান্দার হজের গুরুত্ব, মর্যাদা ও ফজিলত বর্নণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ধনী-গরিব সকলের জন্যই রয়েছে হজ করার মর্যাদা। এ সৌভাগ্য আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরই দান করেন।


শেয়ার করুন