হজে পদদলিত হয়ে ৪৫৩ হাজির মৃত্যু

120761_1সিটিএন ডেস্ক :

পবিত্র হজব্রত পালনকালে সৌদি আরবের মক্কায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৪৫৩ হাজি নিহত এবং ৭১৯ জন আহত হয়েছেন।

মক্কার অদূরে মিনায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সৌদি আরবের আল আরাবিয়া টিভি।

হজের শেষ আনুষ্ঠানিকতা মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে প্রাথমিক খবরে জানা গেলেও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

জরুরি বিভাগের কর্মীরা জানান, তারা অন্য হাজিদের পথ দেখিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছেন। আশেপাশের হাসপাতালগুলো জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

মিনা থেকে আলজাজিরার এক সাংবাদিক জানান, হজযাত্রীদের শিবিরের মধ্যবর্তী একটি সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এর নাম স্ট্রিট ২০৪। তবে পাথর নিক্ষেপের সময় এ ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি জানান, এ বিপর্যয় মোকাবিলায় ৪,০০০ শ্রমিক এবং ২২০টি অ্যাম্বুলেস মোতায়েন করা হয়েছে।

কিভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটল তা এখনো জানা যায়নি। নিহতদের জাতীয়তা সম্পর্কেও কোনো তথ্য মেলেনি।

হতাহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না- তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

তিনি বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা লোক পাঠিয়েছি। কোনো তথ্য এখনো আমরা পাইনি।’

মিনার এ স্থানে হজের সময় প্রাণহানীর ঘটনা নতুন নয়। ঊনিশ’ আশি ও নব্বইয়ের দশকে এখানে শত শত হাজি মারা গেছেন।

নিকট অতীতে হজ মৌসুমে সবচেয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে ১৯৯০ সালের ২ জুলাই। ওই ঘটনায় একটি সুড়ঙ্গে পদদলিত হয়ে ১৪২৬ জনের মৃত্যু হয়।

২০০৬ সালে এখানে পদদলিত হয়ে মারা যান ৩৬৩ জন।

হজ পালনের জন্য মক্কায় এখন ২০ থেকে ৩০ লাখ লোক অবস্থান করছেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল-হারামে একটি বড় ক্রেন ভেঙে অন্তত ১১১ হজযাত্রী নিহত এবং ৩৯০ জন আহত হন। এ ঘটনায় সৌদি সরকার সমালোচনা মুখে রয়েছে।


শেয়ার করুন