হজে পদদলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭

hajj-minaসিটিএন ডেস্ক :

সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন, ৭১৭ জন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮০৫ জন।

মক্কার মসজিদ আল-হারামে ক্রেইন উল্টে ১১৭ জনের মৃত্যুর ১২ দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল।

হতাহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না- তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “খবর পেয়েই আমরা লোক পাঠিয়েছি। কোনো তথ্য এখনো আমরা পাইনি।”

সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ১

৫০টি দেশের প্রায় ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবার হজ করছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা এক লাখের বেশি।

ইসলামী রীতি অনুযায়ী, বুধবার তারা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে দিনভর ইবাদত করেন এবং হজের খুতবা শোনেন।

আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে তারা পাথর সংগ্রহ করেন, যা মিনার জামারায় শয়তানকে (প্রতীকী) উদ্দেশ্য করে ছোড়া হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মিনায় ফিরে জোহরের নামাজ আদায় করেন এরপর শয়তানকে পাথর ছোড়ার পর্ব শেষ করে তারা কোরবানি দেন।

কোরবানি শেষে ইহরাম ত্যাগ করে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।

মিনায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর ছোড়ার আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপে এর আগেও পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে এমনই এক ঘটনায় ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়।

Medical+personnel+tend+to+a+wounded+pilgrimএরপর মিনার তিনটি শয়তানের প্রতীক স্তম্ভ ও জামারাত সেতুর সংস্কার করা হয়, যার ফলে ওই সেতু দিয়ে শয়তানের স্তম্ভ পর্যন্ত পৌঁছানো সহজ হয়েছে।

নিকট অতীতে হজ মৌসুমে সবচেয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে ১৯৯০ সালের ২ জুলাই। ওই ঘটনায় একটি সুড়ঙ্গে পদদলিত হয়ে ১ হাজার ৪২৬ জনের মৃত্যু হয়।

আর চলতি হজ মওসুম শুরুর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল-হারামের সম্প্রসারণ কাজে থাকা একটি ক্রেইন উল্টে পড়লে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।

গত চল্লিশ বছরে সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও রোগে ভুগে অন্তত তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।


শেয়ার করুন