হজের নিয়ত

url22যেকোনো কাজের আগে নিয়ত শর্ত। নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে ইবাদতও বিশুদ্ধ হবে না। রাসূল সা. বলেন, ‘নিশ্চয় আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’। (মুসলিম, বুখারি)। অর্থাৎ নিয়ত শুদ্ধ হলেই আমল শুদ্ধ হবে।
হাদিসটিতে নিয়তের গুরুত্ব ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মুসলমানদের প্রত্যেকটি কাজে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকা অত্যাবশ্যক। প্রতিটি কর্ম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. এর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করা উচিত। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশে কোনো কিছু করার নামই হল নিয়ত বিশুদ্ধ করা। কোনো কাজে বিশুদ্ধ নিয়ত না থাকলে সে কাজ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আল্লাহর নিকট কোনো কাজের পুরস্কার পেতে হলে প্রত্যেকটি কাজে নিয়তের বিশুদ্ধতা থাকা অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা কাজের সঙ্গে বান্দার অন্তরের অবস্থাও দেখতে চান। বিশুদ্ধ নিয়ত প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তাদেরকে হুকুম করা হয়েছে যে, তারা যেন একনিষ্ঠ হয়ে আন্তরিকভাবে আল্লাহর দীন পালনের মাধ্যমে একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে’। (সূরা আল-ইমরান: ২৯)।
বান্দার মনে কি থাকে এ বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা অবগত। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনি বলুন, তোমরা তোমাদের মনের কথা গোপন রাখ অথবা প্রকাশ করÑ তা সবই আল্লাহ জানেন। (সূরা আলে-ইমরান : ২৯)
হজের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতেও নিয়ত বিশুদ্ধ করা প্রয়োজন। হজে রওনা হওয়ার আগে জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তওবা করে নিতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী জীবনে হজব্রতে স্থির থাকার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। নিয়তের পাশাপাশি মনকেও সাজিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ মানসিক প্রস্তুতি। শরীরের সঙ্গে মনকেও বলুনÑ আল্লাহ তায়ালার সামনে হাজির হচ্ছি। হে মন! খোদার আনন্দ ধরে রাখতে প্রস্তুত হও। মনের পবিত্রতার প্রয়োজন এ সময় সবচেয়ে বেশি। হজ যেন না হয় লোক দেখান কিংবা গর্ববোধের জন্য সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজন শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জানমালের কুরবান করা। বিশুদ্ধ মনে হজের মতো কঠিন পথ পাড়ি দিতে পারলেই তবে নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফেরা সম্ভব হবে।


শেয়ার করুন