সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের আরো সচেতন করতে হবে

hh

বুয়েট’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার

বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এআরআই) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটন জেলায় প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন আসা যাওয়া করে থাকে। এই কারণে অনেক চালকরা এই এলাকায় নতুন। ফলে সড়ক সর্ম্পকে তেমন ধারানা না থাকায় স্বাভাবিক ভাবে তাদের কাছে একটু কঠিন মনে হয়। তাদের সুবিধাত্তে এই অঞ্চলের বিপদজনক সড়ক গুলোকে চিহ্নিত করে দেয়া দরকার। এটি যেহেতু দেশের একটি গুরুপূর্ন জেলা সেই ক্ষেত্রে কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। ৩০ মার্চ বেলা আড়াইটার দিকে কলাতলীস্থ সড়ক ও জনপদের রেষ্ট হাউজে কক্সবাজার সরকারীভাবে মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ণ কমিটির নেতৃবৃন্দরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
এছাড়া তিনি আরো বলেন কোনোভাবেই কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। বরং দিনদিন বেড়েই চলছে। এ দুর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করেছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের (এআরআই) তথ্য মতে, মূলত সাত কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গাড়ির চালকরা। তাদের বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের কারণে ৯১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও পথচারীদের অসতর্কতা, লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের অনিয়ম, ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে শিথিলতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও মালিকপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু অধিকাংশ দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যার ফলে অনিয়মগুলো দূর হচ্ছে না। বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। একই সাথে চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক মোটর ড্রাইভিং শিক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বআরোপ করেন তিনি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সরকারীভাবে মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ণ কমিটির আহবায়ক আব্দুল আলীম নোবেল, কক্সবাজার ট্রাক মিনি ট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার এক মাত্র মোটর ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর নুরুল আমিন,সংবাদকর্মী রাশেদুল আরাফাত, শ্রমিক নেতা মো, জসিম উদ্দিন।


শেয়ার করুন