টেকনাফে

স্বর্ণালংকারককে গুলি করে ৬০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, গুলিবিদ্ধ-২

109d1228-5e80-4e21-b8ce-df2754ec4d2bহেলাল উদ্দিন : 

টেকনাফে ফিল্মি স্টাইলে মং থোই হ্লা নামের স্বর্ণালংকারককে গুলি করে অনন্ত ৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টারদিকে উপজেলার হ্নীলা চৌধুরী পাড়া ব্রিজের উপর এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্বর্ণালংকারকসহ দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত দুই জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে হ্নীলা ষ্টেশনস্থ সিকদার প্লাজা সোমা স্বর্ণকারের সত্ত্বাধিকারী চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত কালাচের পুত্র মং থোই হ্লা দোকান থেকে মোটরসাইকেল যোগে ব্যাগে ভর্তি দোকানের ৬০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২০ হাজার টাকাসহ বাড়ী ফেরার পথে চৌধুরী পাড়া ব্রিজের কাছাকাছি পৌছঁলে পূর্ব থেকে মাহিন্দ্রাসহ উঁৎপেতে থাকা চিহ্নিত ৫/৬ দুর্বৃত্ত তার গাড়ী গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মং থোই হ্লার কাঁধে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয় দুর্বৃত্তরা। তারা তখন মং থোই হ্লার বাম উরু লক্ষ করে গুলি ও পিছনে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে টাকা ও স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মোটর সাইকেল আরোহীর চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে পার্শ্বস্থ মৎস্য ঘেরের ম্যানেজার স্থানীয় নাটমোরা পাড়ার রশিদ মেম্বারের পুত্র নুর হোসেন (৪০) এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হ্নীলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখলে কর্মরত চিকিৎক তাদের কক্সবাজার প্রেরণ করেন। গুলিবিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী মংটিলা জানান, সন্ধ্যায় দোকান বন্ধের সময় উলুচামরী এলকার জনৈক আব্দুর রহমানের সাথে ডেলিভারী সংক্রান্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই সুত্র ধরে ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ¯’ানীয়রাও বিষয়টি পরিকল্পিত বলে ধারণা করছেন। হ্নীলা হাসপাতালের ডাক্তার শংকর চন্দ্র দেবনাথ জানান, দুজনের অব¯’া আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ছিনতাইকারীদের শনাক্তে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বর্ণ ব্যবসায়ী মং থোই হ্লা টেকনাফ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি। তার আহতের খবর পেয়ে উপজেলা সভাপতি মমতাজুল ইসলাম মনু ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে মানবাধিকার কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান এবং দোষিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়াতায় আনার দাবী জানান।


শেয়ার করুন