সোনার পাড়ায় স্বামীকে গুম করে দুগ্ধপোষ্য রোহিঙ্গা শিশু আটক

“স্বামী ও শিশু উদ্ধারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা”

উখিয়াশফিক আজাদ,উখিয়া প্রতিনিধি।         

উখিয়ার সোনার পাড়া গ্রামে আবু ছিদ্দিক নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীর স্বামীকে গুম করে দেড় বছর বয়সের দূগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান অন্যায় ভাবে আটক রাখার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই প্রভাবশালী শিশুটি তার দাবী করার জন্য জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাম পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং হাসপাতাল থেকে টিকার কার্ড কৌশলে সংগ্রহ করে নেয়। এ ঘটনায় হতভাগী রোহিঙ্গা নারী আয়েশা বেগম উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উখিয়া থানার ওসি মানবিক দিক বিবেচনা করে তাৎক্ষনাৎ শিশুটি উদ্ধার করার জন্য ইনানী ফাঁড়ির আই.সি মোঃ আলা উদ্দিনকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর ইনানী ফাঁড়িতে শালিস হলে প্রভাবশালী আবু ছিদ্দিক রোহিঙ্গা নারীর শিশুটি ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শিশুর মূল্য হিসাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কৌশলে রোহিঙ্গা নারীকে তাড়াইয়া দেয়। এই সময় হতভাগী আয়েশা তার স্বামীর বিষয়ে সন্ধান চাইলে প্রভাবশালী আবু ছিদ্দিক তাকেও গুম করার হুমকি দেয়।
অভিযোগে প্রকাশ, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ঘিলাতলী গ্রামে বসবাসরত দিন মজুর রোহিঙ্গা মোঃ জলিলের মেয়ে আয়েশা বেগম কে ৩ বছর আগে রোহিঙ্গা নুরুল ইসলামের ছেলে এবাদ উল্যাহ (২৮) বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সাদেকা আক্তার (বর্তমান বয়স ১বছর ৬ মাস) নামের দুগ্ধপোষ্য কন্যা সন্তান আছে। আয়েশা বেগম অভিযোগ করে জানান, গত ২৫ জুন সকাল বেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী তাকে মারধর করে। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়া গেলে তার শিশু কন্যাকে নিয়ে স্বামী বাড়ী থেকে বের হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ দিন খোঁজার পর আবু ছিদ্দিকের নিকট দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান থাকার বিষয় জানতে পেরে শিশু  সন্তানটি ফেরৎ দেওয়ার জন্য বলিলে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আয়েশা অভিযোগ করেন আরো বলেন, প্রভাবশালী আবু ছিদ্দিক তার স্বামীকে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করে শিশু সন্তানটি আটক রাখে। তিনি তার দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তানটি উদ্ধার করার বিষয়ে পুলিশ সুপার সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


শেয়ার করুন