সেলফি হতে পারে ভয়ংকর ব্যাধি

vlcsnap-2015-07-09-22h18m18s15-400x239সেলফিকে একটি মানসিক ভারসাম্যহীণ বিষয় বলে ঘোষণা করেছে- আমেরিকান সাইকিয়াটিক এসোসিয়েশন। গবেষণায় উঠে আসে পারিবারিক বন্ধনের শীথিলতার কারণে মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ভার্চুয়াল জগতের দিকে। সামাজিক মাধ্যমে একটা সেলফি দিয়ে নিজেকে সামাজিক প্রমাণের চেষ্টায় মগ্ন সবাই। পশ্চিমা এই ট্রেন্ডের হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশেও। বিশ্লেষকরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে না পারলে, আমাদের দেশেও সেলফি রুপ নিতে পারে এক ভয়ংকর ব্যাধিতে।
ঘুম থেকেই উঠেই একটি ক্লিক। সুনিদিষ্ট কোনো অর্থ না থাকলে তার নাম সেলফি। অর্থ যাই হোক না কেন তরুণ তরুণীদের কাছে জনপ্রিয় নাম এটি।
একটি স্মার্টফোন বা ট্যাবের সামনের ক্যামেরা অন করেই একটি ক্লিক। নিজের ছবি নিজেই তোলা। মুখ, চোখ, নাকের নানা ভঙ্গির ছবি তুলে নিজের সামাজিক যোগাযোগে নিজের বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। এ যেন অন্য এক আসক্তি।
শুধু তরুণদের মাঝেই না, সেলফি’র হাওয়া লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেস্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গায়ে।
সেলফিকে কেন্দ্র করে হচ্ছে গান কিংবা নাকট। বানানো হয়েছে ডাবম্যাসও। সব বয়সীরা ভুগছে যেন সেলফি জ্বরে। কেউ জেনে আবার কেউ না জেনে।
ছবি তোলার অদ্ভুত ধরণ নষ্ট করে দিচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক চিন্তার বিকাশকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল রিসার্চে সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী সেলফি একটি ব্যাধি।
সেলফি হয়ে উঠতে পারে এক ব্যাধিতে। এ ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য পারিবারিক সম্প্রীতি বাড়ানোর পরামর্শ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাইমা নিপার।
মনোবিশ্লেষকের মতে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এখন ভার্চুয়াল জগতে সামাজিক হলেও বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। তবে সহসা কি মুক্তি মিলবে বিশ্ব জনীন এই প্রবণতা থেকে।


শেয়ার করুন