সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল

12064368_1469768643331091_1578316637_nএম,জুবাইর হোছাইন, সেন্টমার্টিন:

ঈদুল আযহার ২য় দিন থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিনে পর্ষটকের আগমনে দর্শনীয় স্হান গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হোটেল, মোটেল রেস্তুরেন্ট গুলো ঈদের আগে পরিষ্কার করে ভাড়া দেওয়া শুরু করেছে বলে জানান ব্যাবসায়ী। দ্বীর্ঘদিন পর পর্যটকের দেখা মিলায় স্বস্তির নিশ্বাঃস ফেলেছে ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসী।পর্যটকদের আগমনে দ্বীপে সর্বএই সাজ সাজ রব বিরাজ করেছে। অপরুপ সেজেছে হোটেল, মোটেল, এবং দর্শনীয় স্হান। সেন্টমার্টিনে পর্যটন মৌসুম কার্যত চলতি সেপ্টোম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু বর্ষন শেষ না হওয়া সহ বিভিন্ন কারনে পর্শটকরা এখনো ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এবং জেটির পার্কিংয়ের ভাঙ্গনে জাহাজ ভিড়ার মুশকিল ছিল। সব মিলিয়ে সদ্য ঈদুল আযহার পর থেকে দুর দুরান্তদের পর্যটকগন সেন্টমাটিন দিকে রওয়ানা দিয়েছে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতাই সেন্টমাটিনে ঈদের ২য় দিন থেকে পর্ষটকদের আগমন দিন দিন বেড়েছে। রাএে শপিং মলে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে পর্ষটক ও ব্যাবসায়ী। রাএে হোটেল মোটেলে জেনারেটরের সহযহোগিতায় বিভিন্ন লাইট দিয়ে সাজিয়েছে। তা ছাড়া পুর্নিমার চাঁদের আলোয় আকর্ষনীয় করে তুলেছে দ্বীপকে। এবং আকাশের তারামন্ডলীর ছুটাছুটি পর্ষটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। মনে হয় মৃত দ্বীপ প্রান ফিরে পেয়ে জীবিত।

জানা যায়, ২৬ শে সেপ্টেম্বর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক বাহী বে ক্রুজার -১ জাহাজ ২১৭ জন যাএী ২৭, ২৮, ২৯ শে সেপ্টোম্বর কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজ নিয়মিত ভাবে সেন্টমাটিনে যাতায়াত করছেন। কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজের টিকেট বিক্রি বেড়েছে। কেয়ারী গ্রুফ পরিচালিত ২ জাহাজে ১ম দিন ৬৫০. ২৮ শে সেপ্টোম্বর ৭৫০,২৯ শে সেপ্টোম্বর ৮৩০ জন যাএীকে টিকেট বিক্রি করেন। এদিকে গত বছর পর্ষটক মৌসুমে রাজনৈতিক অস্হীতিশীলতার কারনে পর্ষটকদেরর আগমন তেমন হইনি। এবং জেটির ভাঙ্গনে ঈদুল আজহার দিনে ১ম দিনেও জাহাজ আসতে পারেনি। সেহেতু দ্বীর্ঘদিন পর পর্ষটক দের সাক্ষাত পাওয়ায় আনন্দিত এলাকাবাসী ওসর্বস্হরের ব্যাবসায়ী। হোটেল ,মোটেল,  রেস্তুরা, শুটকি বাজার, চা দোকান, বিপনী বিতানসহ দ্বীপের দর্শনীয় স্হান গুলো সরগরম হয়ে উঠেছে।

পর্যটকদের জন্য বঙ্গোপসাগরের লোনা পানি বেষ্ঠিত দ্বীপের নারিকেল বাগানের কচি ডাব খুব পছন্দনীয়। দ্বীপে পৌছা মাএ সবাই কচি ডাব খেয়ে অন্যন্য বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। এবং দ্বূীপের শেষ সীমানায় ছিরা দ্বীপে বিকালে ভীড় জমাচ্ছে পর্ষটক ভাই বোনেরা। বিভিন্ন সৈকত পাড়ে নিরিবিলে পরিবেশে সমুদ্রের সবুজ পানি বেষ্ঠিত তরঙ্গ মালা উপভোগ করতে দিগবিদীগ ছুটছে পর্ষটক । নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলা ভুমি সেন্টমাটিন দ্বীপে প্রত্যক বছর সেপ্টোম্বর মাসের শুরু থেকে পর্ষটকদের আগমন শুরু হয়ে আবহাওয়া অনুকুল থাকা পর্যন্ত পর্ষটক বাহী ৫ টি জাহাজ যাতায়াত করে। সরকারীছুটি, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা সহ বিশেষ দিনে সেন্টমাটিনে পর্ষটকের উপস্হীতী লক্ক্য করার মতো। সেই দিন গুলোতে হোটের, মোটেল ছাড়া বাড়ী ঘর ভাড়া দিতেন এলাকাবাসী। সবাই যা পায় তা হাতিয়ে নিত। কিন্তু চলতি মৌসুমে ভিন্ন চিএ।

চলতি মৌসুমেে প্রথমে পর্যটকদের দেখা মিললেও অন্য বছরের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। সংখ্যায় কম হলেও পর্ষটকদেরর দেখা পাওয়ায় আনন্দ উপভোগ করছে ব্যাবসায়ী সহ দ্বীপ বাসী। জেটির ভাঙ্গনে সংস্কার না হওয়ায় দ্বীর্ঘক্ষন জাহাজে অপেক্ষা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পর্ষটক বাহী একটি জাহাজ জেটিতে আসলে অন্য পর্যটক বাহী জাহাজেকে বঙ্গোপসাগরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে দ্বীপে ভ্রমন করার যথাযথ সময় থেকে বন্ঞিত।

সেন্টমার্টিন বাজারস্হ আবাসিক সেন্টশুর হোটেলের ম্যানেজার মোঃ সরওয়ার জানান, ঈদের পর থেকে দিন দিন হোটেলের বুকিং বেড়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিপুল সংখ্যাক চলতি মাসে পর্ষটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেন্টমার্র্টিন জেটি সংলগ্ন ইউরো বাংলা রেস্তুরার মালিক জিয়াউল হক জানান পর্ষটক দিন দিন বাড়ায় রেস্তুরেন্ট ব্যাবসা চলতি মৌসুমে ভাল হবে বলে আশা করছি। দ্বীপে মাছ না পাওয়ায় কক্স বাজার ও টেকনাফ থেকে মাছ আমদানি করে পর্ষটকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ঔষধ বিক্রেতা মৌঃ সালাহ উদ্দীন জানান পর্ষটক আসায় এ দিনে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করি। এই রকম বিক্রি বছরে দেখা মিলে।

বে ক্রজার -১ জাহাজ চালক মাঃ মুর্শেদ আবু বক্কর জানান, ঈদুল আযহার ২ য় দিনে চলতি মৌসুমে সর্ব প্রথম ২ শত ১৭ জন যাএী নিয়ে সেন্টমাটিন দ্বীপে আগমন করি। ২৮ শে সেপ্টোম্বর থেকে জাহাজের প্রায় টিকেট আগাম বুকিং। ২৯ শে সেপ্টোম্বর ২৯০ জন যাএীকে টিকেট বিক্রি করি।তবে দ্বীপের জেটিতে ভাঙ্গনে যাএীর উঠানামায় আমরা শংকিত। জেটিতে সংস্কার অপরিহার্য্য।

কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফ ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম জানান, পর্যটকের চাপ অত্যাধিক। দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। সেন্টমার্টিন জেটির ভাঙ্গনে একটি জাহাজ ভিড়লে অন্য জাহাজের পর্ষটকদের নামতে বেশি সময় জাহাজে অপেক্ষা করতে হচ্ছে । ফলে পর্ষটকদের ভ্রমনে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেন্টমাটিন কোষ্টগার্ড ষ্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ আলী মনছুর জানান, দ্বীপে পর্যটকদের নিরাপওার জন্য টইল জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা সহ্য করা হবেনা।

দ্বীপের প্যানেল চেয়ারম্যন আব্দুর রহমান জানান, জেটির সংস্কার চলছে এবং পর্যটকদের নিরাপওা ও সুবিধার জন্য যা প্রয়োজন সব কিছু করা হবে।

সরে জমিন ঘুরে দেখা যায় প্রত্যকটি হোটেল, মোটেল নতুন ভাবে বিভিন্ন রং দিয়ে সাজিয়েছে। সব হোটেলে পর্ষটকদের ভীড় লক্ষনীয়। দর্শনীয় স্পটে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় । সাগর সৈকতে পর্ষটক আর পর্যটক।


শেয়ার করুন