সেন্টমার্টিনে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতরা অধরা

images (1)বিশেষ প্রতিবেদক :

সেন্টমার্টিনের কাছে তিন কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত মূল হোতাদের এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মামলার এজাহারের মূল পাচারকারী নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার তোফাজ্জল আহমদের ছেলে তছকির আহমদ (৪০), একই এলাকার মো: ইউনুছের ছেলে রেজাউল কাদের ওরফে ইয়াবা মিন্টু ও ইয়াবা পাচারের ব্যবহৃত আল্লাহর দান নামের ওই নৌকার মালিক আনোয়ারার গহিরার জলিল আহমদের ছেলে ফরিদ আহমদ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জিকে গ্রুপের মালিক তছকির আহমেদের ভগ্নিপতি হলো রেজাউল কাদের ওরফে ইয়াবা মিন্টু।
কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির আহমদ জানান, জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে আটক আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। কক্সবাজার টেকনাফ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। সুবিধাজনক সময়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাচারের সাথে জড়িত যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
গত ৬ আগস্ট ইয়াবার চালনাটি আটকের পরের দিন সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশনের পক্ষে এম মোক্তার হোসেন টেকনাফ থানায় ৯ জনসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাগরে একটি মাছ ধরার নৌকায় অভিযান চালিয়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার পিস ইয়াবার চালান আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় ৯ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তিতে চট্টগ্রামের দুই শীর্ষ মাদক পাচারকারীর নাম উঠে আসার পর তাদের গ্রেফতারের জন্য কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার আবদুল কাদেরের ছেলে ও ট্রলারের মাঝি আবদুল আজিজ, মো: মুসার ছেলে আবদুল নূর, হাবিবুর রহমানের ছেলে শফিক, ঠান্ডা মিয়ার ছেলে হারুন, ছালেহ আহমদের ছেলে মো: নুর আলম, নাগুমিয়ার ছেলে হামিদ, সোবহানের ছেলে মইনুল হোসেন, বাঁশখালী থানার ইসমাইলের ছেলে বাবুল, ভোলা জেলার পেরাক আলী হাওলাদারের ছেলে মহিউদ্দীন।


শেয়ার করুন