সেই বাদশা এই বাংলাদেশ

নঈম নিজাম

মিডিয়া সেন্টারে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ কে যেন পিঠে হাত রাখলেন। বললেন, তুমি কি ঢাকা থেকে এসেছ? নায়কের মতো চেহারা। আমি মাথা নাড়লাম। বিস্ময় নিয়ে তাকালাম তাঁর দিকে। সময়টা ’৯৭ সালের শেষ দিকের। কমনওয়েলথ সম্মেলন হচ্ছে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায়। সম্মেলনের খবর সংগ্রহে আমি এসেছি। হোটেল বুঝে নেওয়ার আগেই মিডিয়া সেন্টারে এলাম কাগজপত্র বুঝে নিতে। ছোট লাগেজটি মিডিয়া সেন্টারেই রাখা। উত্তরে বিলম্ব দেখে এবার তিনি বললেন, তুমি কি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী? আমি বললাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই ফ্লাইটে এসেছি। সফরসঙ্গী বলতে পারেন। আবার নাও বলতে পারেন। কারণ আমি সরকারি তালিকাভুক্ত সফরসঙ্গী নই। ব্যক্তিগতভাবে আমার আসা। তবে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সহায়তা করেছেন অন্যভাবে। বাংলাদেশ বিমান আমাকে এডিনবরায় নামার অনুমতি দিচ্ছিল না। কারণ শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা নামবেন। অন্য যাত্রীরা নামবেন লন্ডনে। আর আমাকে নামতে হলে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দিতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাই। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান ও প্রটোকল অফিসার আলাহউদ্দিন নাসিম বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তিনি তখনই মিলিটারি সেক্রেটারিকে বলে দেন, বিমানের চেয়ারম্যান, এমডিকে বলে দিতে আমার সঙ্গে ঝামেলা না করার জন্য। এ কারণে আপনি সফরসঙ্গী বলতে পারেন। আবার নাও বলতে পারেন। কারণ আমি রাষ্ট্রীয় অর্থে আসিনি। এখানে নেমে আমার মতো করে হোটেলে উঠেছি। তিনি বললেন, তুমি হোটেলে থাকবে কেন? খামোখা অর্থের অপচয়। চল আমার সঙ্গে। তোমার সব জিনিসপত্র নাও। আমি থাকছি স্কটল্যান্ডের ওয়ালি তছরউদ্দিনের বাড়িতে। বিশাল বাড়ি। কমপক্ষে খালি রুম ১০টি। চল। অচেনা মানুষটির এ ধরনের আমন্ত্রণে বিস্মিত হলাম। চিনি না, জানি না। নিজ থেকে যেচে এসে সহায়তার হাত বাড়ালেন। তার দিকে ভালো করে তাকালাম। চেনা চেনা মনে হচ্ছিল। তিনিও আমার দিকে তাকালেন। বললেন, আমি বাদশা। আমি বিস্ময় নিয়ে বললাম, আপনিই আমিনুল হক বাদশা?
বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে সেই পরিচয়ের সূত্রপাত। তার ছোট ভাই কামরুল হক শামীম আমার সিনিয়র বন্ধু। এই পরিবারটিকে ভালো করেই জানি। কুষ্টিয়ার বনেদি বংশ। বাদশা ষাটের দশকের আলোচিত ছাত্রনেতা। এরপর সাংবাদিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন। ‘জয় বাংলা’ নামে একটি সিনেমাও করেছেন। সব সময় হাসিখুশি মুখ। আমি বাদশা ভাইকে বললাম, ঢাকার আরও দুই সাংবাদিক এসেছেন। জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরী আর ফরিদ হোসেন। তাদেরও থাকার সমস্যা। তারাও আমার মতো কম দামি হোটেল খুঁজছেন। তিনি বললেন, বাদশা থাকতে কোনো সমস্যা নেই। আগে তোমার লাগেজ রেখে আসি। ওরা দুজনও আমার ক্লোজ। তারা আসুক। তাদের নিয়ে যাব। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। বাদশা ভাই আমাদের সবাইকে নিয়ে রাখলেন ওয়ালি তছরউদ্দিনের বাড়িতে। রাতজুড়ে চলত বাদশার মজলিস। আমরা সবাই সেই মজলিসের অংশীদার। প্রধানমন্ত্রীর দুই সফরসঙ্গী এবিএম মূসা এবং এম আনিসুজ্জামান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিতেন মাঝেমধ্যে। সবকিছুর মধ্যমণি বাদশা। মোগল বাদশা নন, তাতে কী!। তিনি আমাদের বাদশা।
স্কটল্যান্ড থেকে এলাম লন্ডনে। বাদশা ভাই তার বেথনাল গ্রিনের বাসাটি ছেড়ে কিছু দিন আগে উঠেছেন লন্ডন শহরতলির একটি বাড়িতে। তার শহরের বাসাটি খালি। আমাকে চাবি দিয়ে দিলেন। বললেন, যতদিন লন্ডন থাকবে এটাই তোমার ঠিকানা। একা থাকতে হবে। আমি বাকি সাত দিন এ বাসাতেই ছিলাম। প্রতিদিন সকালে তিনি আসতেন। তখন নিজেই ড্রাইভ করতেন। তার মেয়ে আকিলা খুবই ছোট। মাঝেমধ্যে ছোট্ট মেয়েটি সঙ্গে থাকত। আমাকে গাড়িতে তুলতেন। নিজে ড্রাইভ করে ঘুরে বেড়াতেন লন্ডন। দেখাতেন ব্রিকলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বাড়ি, বাংলা পত্রিকা অফিস, আমিন আলীর রেডফোর্ট, অক্সফোর্ড স্ট্রিট, টেমস তীর। সপ্তাহখানেক বাদশার শাসনকালে থেকে ফিরে আসি ঢাকায়। তারপর বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে কথা হতো মাঝেমধ্যে। ই-মেইলে শুভেচ্ছা বিনিময় হতো। তিনি ঢাকা এলেই ছুটে আসতেন আমার অফিসে, বাড়িতে। আমার স্ত্রীর রান্নার প্রশংসা করতেন। আমি লন্ডন গেলে প্রথম ফোনটা করতাম তাকেই। আমি এটিএন বাংলায় থাকার সময় লন্ডন থেকে ফোনে তার ভয়েস নিতাম। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এটিএনের সঙ্গে যুক্ত হন। এভাবে ভালোই ছিল সবকিছু। গত বছরের শুরু থেকে শামীম ভাই মাঝেমধ্যে বলতেন, বাদশা ভাইয়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। আমরা কয়েকটি নিউজও করি। হঠাৎ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে গিয়েছিলাম দুই দিনের জন্য। বাদশা ভাইকে দেখতে গেলাম তার বাড়িতে। ভীষণ অসুস্থ। শরীরটা ভেঙে গেছে। ভাবী বললেন, আপনাদের পেয়েছে এখন সুস্থ হয়ে উঠবে। শরীর খারাপ থাকবে না। আসলেও তাই। বাদশা ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। মনেই হলো না তিনি অসুস্থ। হাতের মধ্যে কয়েকটি লেখা ধরিয়ে দিলেন। বললেন, ওগুলো প্রকাশ করো। লেখাগুলো বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়। বাদশা ভাই দেখেছিলেন কিনা জানি না, তবে তার সঙ্গে বিদায়ী দেখা জাতীয় প্রেসক্লাবে। তিনি আমাকে দেখে উচ্ছ্বাস দেখালেন না। শুয়ে আছেন নিথর হয়ে। কফিনে শুয়ে থাকা মানুষটিকে দেখলাম। আহারে কী মায়াবী মুখ! জানাজা হলো। তার আরেক ভাই খন্দকার রাশিদুল হক নবা দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য ভাই, আত্মীয়স্বজনও আছেন। কিন্তু নেই একজনই। তিনি বাদশা।
মানুষ এভাবেই চলে যায়। আমার এক বন্ধু প্রায়ই বলেন, ছোট্ট একটা জীবন। এ জীবনে যেমনি পারেন, ভালো থাকার চেষ্টা করবেন। জীবনটা আসলেই ক্ষণিকের। আজ আছে কাল নেই। মৃত্যুর আগে হুমায়ূন আহমেদ আক্ষেপ করেছিলেন, মানুষের জীবনটা এত ছোট কেন? একটা কচ্ছপ বাঁচে সাড়ে ৩০০ বছর। আর মানুষের গড় আয়ু ৬০ থেকে ৬৫। দেখতে দেখতে চলে যায়। আর জীবনের বড় অংশই কাটে লড়াই করে। কষ্টে, দুর্ভোগে, যন্ত্রণায়। দহনের তীব্রতায়। দহনের এ আগুন দেখা যায় না। অথচ তুষের আগুনের মতো তিল তিল করে জ্বলে। ভিতরটা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়। অথচ দৃশ্যমান নয়। এর অব্যক্ত যন্ত্রণা প্রকাশও করা যায় না। এ আগুনের শিখা ঘরে-বাইরে, সমাজে-সংসারে, রাজনীতিতে সবখানে। আর তা নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দুলি। এ দোলা আজ গ্রাস করেছে আমাদের জাতীয় জীবনকে, যার খেসারতে গত তিন মাস একদিকে ছিল জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার উৎসব, অন্যদিকে মামলা আর নিখোঁজের দীর্ঘ তালিকা। অথচ যে পরিবারগুলো সন্তান, স্বামী, পিতাহারা হলো আজ তাদের খোঁজ কেউ নেয় না। তাদের তীব্র দহন কেউ দেখে না।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আমি বার্ন ইউনিটে গিয়েছি বার বার। আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করেছি কষ্টগুলো বোঝার। যন্ত্রণায় কাতর মানুষগুলোর কী অপরাধ ছিল জানি না। অথচ তারা নিষ্ঠুর রাজনীতির বলি। রাজনীতির হিসাব-নিকাশ বড়ই কঠিন। চিন্তাভাবনা না করে চললেই সর্বনাশ। আর এ সর্বনাশের আগুন ঘরে-বাইরে সবাইকে জ্বালিয়ে মারে। না বুঝে ভুল পরামর্শকের কথায় চলার পরিণতি মোটেও সুখকর নয়। বরং জন্ম দেয় নতুন সমস্যার। আর সে সমস্যা অনেকটা জিন্নাহর সিজদার গল্পের মতো। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নিয়ে একটা মিথ আছে। মুসলিম লীগের রাজনীতি শুরু করার পর দিল্লি জামে মসজিদের ইমামের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। কথাবার্তা হয় ভারতবর্ষের মুসলমানদের মনোভাব নিয়ে। কীভাবে তাদের মন জয় করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। ইমাম পরামর্শ দিলেন ভারতবর্ষের মুসলমানদের মন জয় করতে হলে নামাজ পড়তে হবে। মুসলমানদের মূল নেতা নামাজের বাইরে থাকলে কেউ তা ভালোভাবে নেবে না। জিন্নাহ দেখলেন প্রস্তাবটি ভালো। কিন্তু তিনি নামাজের নিয়ম জানেন না। তাই জানতে চাইলেন কীভাবে নামাজ পড়ব? ইমাম বললেন, আমাকে ফলো করলেই হবে। কথা অনুযায়ী দিল্লি জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেন জিন্নাহ। ইমামকে ফলো করেই দুই রাকাত নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত করলেন। রুকুর পর গেলেন সিজদায়। কিন্তু সিজদার পর যে উঠতে হবে তা তিনি জেনে নেননি। এ কারণে সিজদায় পড়ে রইলেন। মনে করলেন এটাই নিয়ম। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি দেখে জিন্নাহর এ গল্পটি মনে পড়ছে। বিএনপির তিন মাসের আন্দোলন, ৯০ দিনের বেশি চেয়ারপারসন অফিসে অবস্থান করলেন। কেন থাকলেন, আবার কী অর্জনে ফিরে গেলেন কিছুই বুঝলাম না।
প্রয়াত রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলতেন, রাজনীতি করতে হবে বুঝে-শুনে। না বুঝে কোনো কিছু রাজনীতিতে করা ঠিক নয়। পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ সারা জীবন চাঁদপুর থেকে জয়ী হতেন। অথচ ’৯১ সালে তাকে জয়ী হতে হয়েছে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া আসন রংপুর থেকে। শুধু মিজানুর রহমান চৌধুরী নন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন রংপুরে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া তিনটি আসন থেকে সংসদে আসেন। সংসদে প্রথম দিন এসেই মিজান চৌধুরী বক্তব্য দিতে উঠে দাঁড়ান। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। তাদের যৌথ ক্ষোভ জাতীয় পার্টি ও এরশাদের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জামায়াতও। জাতীয় পার্টিকে কথা বলতে দিতে নারাজ সবাই। এমন পরিবেশে সংসদে এসে প্রথম দিন ফ্লোর নেন দক্ষ রাজনীতিবিদ মিজান চৌধুরী। চারদিকে হৈচৈ। অথচ মিজান চৌধুরী কথা বলবেন নিষিদ্ধ এরশাদকে নিয়ে। তিনি শুরু করলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার প্রশংসা দিয়ে। একই সঙ্গে প্রশংসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের। দুই দলই নীরব। সবাই তার বক্তব্য শুনছেন। এবার তিনি এলেন মূল বিষয়ে। বললেন, মাননীয় স্পিকার! দুই নেত্রীর পাশাপাশি এ সংসদে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে নিয়ে আসা হলে হাউস আরও প্রাণবন্ত হতো। গণতন্ত্রের দৃষ্টান্ত স্থাপন হতো। কারণ তিনি পাঁচটি আসনে জয়ী। কেউ প্রতিবাদ করলেন না। মিজান চৌধুরী বক্তব্য শেষ করলেন। রাজনীতি আসলে এক কৌশলের খেলা। এ খেলায় পরিস্থিতি বুঝতে হয়। বাস্তবতা বুঝতে হয়। একবার কৌশলে মার খেলে অপেক্ষা করতে হয়। তাড়াহুড়া করলে তখন সমস্যা বাড়ে। নতুন নতুন জটিলতায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। রাষ্ট্রের জন্য দরকার এলোমেলো নয়, বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। সঠিক, দক্ষ সিদ্ধান্ত পারে একটি দেশকে এগিয়ে নিতে। আবার কুশাসন, অপরাজনীতি পারে একটি দেশের সর্বনাশ করতে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আশার আলো জেগে উঠেছে। ভুল রাজনীতির কারণে এ আশার আলো অন্ধকারে রূপ নিতে পারে না। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে চলতে হবে জনগণের চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে। মনে রাখা দরকার, সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি একসময় আমাদের চেয়ে খারাপ ছিল। মালয়েশিয়া যখন সিঙ্গাপুরকে সঙ্গে না রাখার ঘোষণা দিল তখন মিডিয়ার সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন লি কুয়ান ইউ। অথচ সেই সিঙ্গাপুর এখন বিশ্বের কাছে সমৃদ্ধির প্রতীক। শেখ হাসিনা যখন ঘোষণা দিলেন, পদ্মা সেতু করবেন দেশের অর্থে- অনেকে বিশ্বাস করেননি। সংশয় ছিল। কিন্তু ভিশন থাকলে দক্ষ নেতৃত্বে যে কোনো কিছুই থেমে থাকে না। পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। শেখ হাসিনার উন্নয়ন সাফল্য অনেক। বাকি কাজগুলোও করতে হবে। মেট্রোরেল সময়ের দাবি। উড়ালসড়ক নিয়ে তাগাদা দিতে হবে। শেষ করতে হবে ফোর লেনের কাজ। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে। ফিরিয়ে আনতে হবে আইনের শাসন। আধুনিক সিঙ্গাপুরের বড় সাফল্য শুধু উন্নয়নে নয়, আইনের শাসন ও দুর্নীতিকে জিরো করাতে। সেদেশে কেউ ভুল করে রাস্তায় চুইংগাম ফেলে না। আবার খোলা আকাশের নিচে সিগারেট ধরানোর সাহসও করে না। কারণ সেখানে মানুষ জানে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটালে রাষ্ট্র ছাড়বে না। আমরা আইনের শাসন দেখতে চাই। সমৃদ্ধ বাংলাদেশও চাই। বাংলাদেশ প্রতিদিন
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন


শেয়ার করুন