উত্তর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক।
এর পর তুরস্ক সরকার বলছে, আইএস এবং অন্যান্য জঙ্গি গ্রুপের বিরুদ্ধে আরো অভিযান চালানো হবে।
গত কয়েকদিনের ঘটনাবলীর পর তুরস্ক হঠাৎ করেই ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কয়েকটি ফ্রন্টে তারা এখন এই জঙ্গিদের দমনের চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী আহমেট ডাভুটুগলু জানিয়েছেন, কুর্দি বিমান ইসলামিক স্টেটের যেসব অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায়, সেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি প্রয়োজন হয়, কুর্দি বাহিনী সিরিয়ার সীমানা অতিক্রম করেও এরকম অভিযান চালাবে।
কুর্দি প্রধানমন্ত্রী আহমেট ডাভুটুগলু: প্রয়োজনে আরও হামলা চালানো হবে
এই বিমান হামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে একটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তুরস্ক।
দক্ষিণের ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটি থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক স্টেটকে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারে, সেটা পুরো লড়াইয়ের গতি বদলে দিতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক দ্রুত জঙ্গিদের হামলার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এর পাশাপাশি তুরস্ক নিজের সীমান্তের ভেতরেও ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করেছে। শত শত জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনি অভিযান চালিয়েছে, এসব ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি কুর্দী দল পিকেকের সদস্যদেরও ধরা হয়েছে।
গত সোমবার ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী হামলায় তুরস্কে বহু কুর্দী তরুণ নিহত হওয়ার পর তুরস্কের সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে যে তারা জঙ্গিদের দমনে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিবিসির কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সংবাদদাতা জোনাথান মার্কাস বলছেন, তুরস্ক এতদিন পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে অপসারণ বা কুর্দী জঙ্গিদের দমনকে ইসলামিক স্টেটের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছিল।
কিন্তু ইসলামিক স্টেট এখন তুরস্কের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যও যেরকম বড় হুমকি হয়ে উেঠছে, সেটিকে কুর্দি সরকার আর উপেক্ষা করতে পারছে না।