সিটিএন ডেস্ক : সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিকাশের দুজন এজেন্টের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে সিম প্রতিস্থাপন করে একজন গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে গ্রাহকের অসাবধানতার সুযোগে তার গোপন পিন নম্বরটি জানার ফলেই এজেন্টদের পক্ষে জালিয়াতি করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিকাশ করার ক্ষেত্রে গ্রাহকের পিন নম্বর ছাড়া অর্থ আদান প্রদান করা সম্ভব নয়।
বুধবার বিকেলে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার সংযোগ নিবন্ধিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বায়োমেট্রিকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহক পরিচয় নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে সবার সহায়তায় ইতোমধ্যে অধিকাংশ সংযোগ নিবন্ধিত হয়েছে। যারা ৩১ মে এর মধ্যে নিবন্ধন করবেন না, ১ জুন থেকে তাদের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে।
তবে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কথা মাথায় রেখে জারিকৃত ট্যারিফ এবং সার্ভিস নির্দেশনার সাথে সঙ্গতি রেখে তাদের নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বরটি ১৫ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে। এ সময়ের মধ্যেও নম্বরটি উত্তোলন না করলে আরও তিন মাসের নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে মোবাইল অপারেটর নম্বরটি যে কারো কাছে বিক্রি করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণে একটি শর্টকোড চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকরা কর্মদিবসগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৮৭২ নম্বরে ডায়াল করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী প্রমুখ।