‘সায়মন বীচ রিসোর্টে’ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ৩

downloadসিটিএন ডেস্ক

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মালিকানাধীন হোটেল ‘সায়মন বীচ রিসোর্টে’ হামলা ও ভাংচুরের মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরা হলেন নুরুন্নবী পুতু, আবু রায়হান ও তাহমিদুল করিম তকি। এদের মধ্যে দুইজনকে শহরের মধ্যম কলাতলী ও একজনকে বাহারছড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্ত্রীর হোটেলে থার্টিফাস্ট নাইটের কর্মসূচিতে হামলার ওই ঘটনায় হোটেলের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ওই মামলায় দুই জনের উল্লেখ করে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। গত ২ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছিল।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার সী-ইন পয়েন্টে তাঁর হোটেলটি গড়ে উঠেছে। ওই হোটেলের থার্টিফাষ্ট নাইটের আভ্যন্তরীন কর্মসূচিতে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার গভীর রাতে পুলিশ ওই তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। এরা হলেন মধ্যম কলাতলী এলাকার জাফর আলমের ছেলে নুরুন্নবী পুতু ও আমির হোসেনের ছেলে তাহমিদুল করিম তকি এবং শহরের মধ্যম বাহারছড়ার আমির হোসেনের ছেলে আবু রায়হান।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তিনজনকেই তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, থার্টিফাষ্ট নাইটে একদল দুর্বৃত্ত‘ সায়মন বীচ রিসোর্ট’ হোটেলে হামলা করেন ও ভাংচুর চালানো হয়। ওই কারণে ২ জানুয়ারি শনিবার মন্ত্রীর পক্ষ থেকে হোটেল সায়মন বীচের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্র মতে, থার্টিফাস্ট নাইটে শহরের টেকপাড়ার কামালের ছেলে মো. ফয়সাল ও বিমান বন্দর সড়কের হক ভিলার সোহেলের ছেলে ইফাতের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ যুবক ওই হামলায় অংশ নেন।
এজাহারে বলা হয়, রাতের বেলায় বিনা আমন্ত্রণে হোটেল সায়মন বীচে প্রবেশের চেষ্টা করে দুই জন। ওই সময় হোটেলের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হোটেলে ভাংচুর চালায়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরদিন শুক্রবার (১ জানুয়ারি) হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরায় (সিসি ক্যামেরা) ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই দুই জনকে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।


শেয়ার করুন