সালাহ উদ্দিন কি হাওয়া হয়ে গেলেন!

salah-uddin-241x300
আমাদের সময়.কম:
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ, সিআইডি ও র‌্যাব কেউই তার খোঁজ দিতে পারেনি। অথচ, তার পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, ১০ মার্চ রাতে সালাহ উদ্দিনকে উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাদা পোশাকে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে আটক করার কথা অস্বীকার করা হচ্ছে। তবে কি তিনি হাওয়া হয়ে গেলেন- এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মাঝে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খারেদা জিয়া শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে সরকারের হাত আছে। খালেদার এমন অভিযোগের জবাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন নিজেই আত্মগোপনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দোষ চাঁপানো হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আটক হওয়ার পর থেকে তিনি নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব গ্রেপ্তারের পর বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা গণমাধ্যমে সালাহ উদ্দিনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আসত। বর্তমানে সেটা বন্ধ আছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে টানা দুমাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ-হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করে আসছে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদ রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে কখনও জনসম্মুখে না এসে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বলেন, ১০ মার্চ রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সাদা পোশাকের কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তাকে উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টর থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটকের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ভিন্ন-ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। প্রথমে বলছেন, তার স্বামীকে কিছু অপরিচিত ব্যক্তি ফোন করে তাকে অপহরণ করার তথ্য দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার বলেন, এই খবর দুবাই থেকে ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশকে না জানানোর বিষয়টি পরিস্কার নয়। তিনি থানায় গিয়েছিলেন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে। থানায় অভিযোগ করতে এলে, পুলিশের পক্ষ থেকে তার উত্তরার বাড়িতে যেতে চাওয়া হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি তিনি থানায় ৪০ মিনিট বসে থাকলেও একটি সাধারণ ডায়েরি করেননি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ‘জিডি’ করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে যেমন খোঁজ করা হচ্ছে। তেমনি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পুলিশই তাকে আটকে রেখেছে। আসলে তার ভাগ্যে কী জুটেছে তা কারও জানা নেই। এ অবস্থায় তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সর্ব সাধারণের মনে নান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন থেকে অনুবাদ


শেয়ার করুন