সাত মাস পর বাড়ি ফিরেছেন সাকাপুত্র হুম্মাম

20_salauddinquader_familymembers_centraljail_191115_0007হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফাইল ছবি

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাত মাস পর বাড়ি ফিরেছেন, যাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের দাবি।

সাকা চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরেছেন তার ভাতিজা।

“রাত আড়াইটার দিকে ওকে ধানমন্ডি এলাকায় কে বা কারা ফেলে রেখে যায়। পরে অনেক কষ্টে সে বাসায় এসেছে বলে জেনেছি।”

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য। গিয়াসউদ্দিন কাদের এখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

বিএনপির সম্মেলনের পর গতবছর অগাস্টে ঘোষিত কমিটিতে হুম্মামকেও দলের কার্যনির্বাহী সদস‌্য করে নেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার রায় হয়েছিল ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর।

ওই রায়ের দিন সকালেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদেরও দেখান। তারা আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন।

পরে রায় ফাঁসের অভিযোগে ট্রাইব‌্যুনালের নিবন্ধকের পক্ষ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা হয় এবং তাতে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, তাদের ছেলে হুম্মাম, সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিচার শুরু করে আদালত।

ওই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন গতবছর ৪ অগাস্ট পুরান ঢাকার আদালতপাড়া থেকে হুম্মামকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নেওয়া হয় বলে তার পরিবার ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে সে সময় উদ্বেগ জানানো হয়।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, হুম্মাম তাদের হেফাজতে নেই।

হুম্মামকে কারা নিয়ে গিয়েছিল এবং কারা ফেরত দিয়ে গেছে সে বিষয়ে তার সঙ্গে এখনও কথা হয়নি বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, হুম্মাম আপাতত বিশ্রামে আছেন।

রায় ফাঁসের ওই মামলায় গতবছর ১৫ সেপ্টেম্বর সাকার স্ত্রী ও ছেলেকে খালাস দিয়ে তার আইনজীবীসহ পাঁচ জনকে কারাদণ্ডের রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

ওই মামলায় সাজার আদেশ পাওয়া এক আসামির আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ গত ২২ নভেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। রায় ফাঁসের মামলায় সাকার স্ত্রী ও ছেলের খালাসের রায় বাতিল করে কেন তাদের যথাযথ সাজা দেওয়া হবে না- তা জানতে চায় হাই কোর্ট।

–বিডি নিউজ


শেয়ার করুন