সাজা দেয়া বিচারক রেহাই পাবেন না: রিজভী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া বিচারক আখতারুজ্জামান রেহাই পাবেন না বলে সতর্ক করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই বিচারক শিক্ষা ও পেশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ ও জনগণের সাজা থেকে এরা রেহাই পাবে না।’

বুধবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্ালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন রিজভী। দলীয় প্রধানের সাজার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় শনিবার কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা দিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তার ছেলে তারেক রহমানসহ আরও পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

এই মামলাটিতে খালেদা জিয়ার আবেদনে বিচারক বদল হয়েছে দুই দফা। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা বিচারক বাসুদেব রায়ের প্রতি খালেদা জিয়া অনাস্থা জানানোর পর বিচারক পাল্টে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৫ মে এই বিচারকের প্রতিও অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে আখতারুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

রিজভীর তাবি, বিচারকের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে তাদের আগের বক্তব্যগুলিরই সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিকে বিচারক বিকৃত করে তাঁর রায়ে উদ্ধৃত করেছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এক জায়গায় বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, ‘…ছাত্র ও শিক্ষকদের হত্যা করা হচ্ছে। এগুলি কী ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? ক্ষমতার অপব্যবহার আমি করেছি?’। কিন্তু মামলার রায়ে এই বাক্যের শেষে প্রশ্নেবোধক জ্যোতি চিহ্ন পাল্টে দাঁড়ি দেয়ায় বাক্যের অর্থ পাল্টে গেছে।

রিজভী বলেন, ‘দূর্ভাগ্যের বিষয় বিচারক মহোদয় দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন কেবলমাত্র সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট করার জন্য। নিজের চাকরির পদোন্নতির জন্যই তিনি বেগম জিয়ার বক্তব্যকে বিকৃত করে তার রায় লিখেছেন বলে জনগণ মনে করে।’

‘ন্যয় বিচারকে পদদলিত করে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান যে কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেজন্য তিনি ইতিহাসে কলঙ্কিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন।’

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার জমানায় ইনসাফ যে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা এই ড. আখতারুজ্জামানদের কারনে। বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জুডিসিয়াল ফ্রড (Judicial Fraud) করেছেন।’

‘পক্ষপাতদুষ্ট এই বিচারকরা সরকারের অনুগ্রহভাজন হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় এই ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রকে ধুলোয় লুটিয়ে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও গুম-খুনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।’

–ঢাকাটাইমস


শেয়ার করুন