প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার সীমান্তের ভিতরে সংবাদকর্মীদের উপর দেশটির সরকারের নিপীড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে প্রবাসী সংবাদকর্মীদের উপর দেশটির সরকারের সাইবার আক্রমণের দ্বিতীয় ঘটনা এটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অঙ্গরাজ্যের আলেকজান্দ্রিয়া শহর থেকে ইথিওপিয়ান স্যাটেলাইট টেলিভিশন(ইস্যাট) পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রবাসী ইথিওপিয়ান সাংবাদিকরা। ইথিওপিয়ার সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি সংস্থা ‘ইনফর্মেশন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এজেন্সি’ (আইএনএসএ)-র সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তারা।
ইথিওপিয়ান সংবাদকর্মীদের উপর দুই আক্রমণেই ব্যবহার করা হয়েছে ইতালির প্রতিষ্ঠান হ্যাকিং টিমে-র প্রস্তুতকৃত রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম(আরসিএস) স্পাইওয়্যার। হ্যাকিং টিমের মতে এই সফটওয়্যারটি একটি ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকলে তা সহজেই এনক্রিপশন এড়িয়ে ডিভাইসটি থেকে ডেটা চুরি করে ‘আরসিএস’ সার্ভারে ট্রান্সফার করে এবং ডেটার এই লেনদেন ট্রাক করাও সম্ভব নয়।
আরসিএস ব্যবহার করে আইএনএসএ খুব সহজেই সংবাদ কর্মীদের উপরে নজরদারি করতে পারে। তবে এর জন্য প্রথমে আরসিএস স্পাইওয়্যার সংক্রমণ ঘটাতে হয়। এই লক্ষ্যে প্রথমে টার্গেটকৃত কম্পিউটারটিতে ইএসএটি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিমিন জেলেকির নামে একটি ভুয়া অ্যাটাচমেন্ট পাঠানো হয়।
হ্যাকিং টিমের কাস্টমার পলিসিতে পরিস্কারভাবেই স্পাইওয়্যারটির এমন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিটিজেন ল্যাবের প্রতিবেদন মতে ২০১৩ সালে প্রথম আক্রমণের পর হ্যাকিং টিম স্পাইওয়্যারটি নিয়ে ইথিওপিয়া সরকারকে সহযোগিতা করা বন্ধ করেনি। এমনকি ওই বছরেই প্রতিষ্ঠানটি ইথিওপিয়া সরকারকে সফটওয়ারটির আপডেটও সরবরাহ করেছিল।