সম্মেলন, বৈঠকসহ কর্মসূচিতে ঠাসা ৪ দিনের জাপান সফর প্রধানমন্ত্রীর

G7-Outreach-2016-sm20160526005032সিটিএন ডেস্ক : জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচে মিটিংয়ে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের কাশিকো দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত শিমা পেনিনসুলায় ২৬ ও ২৭ মে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ২৭ মে এই সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সম্মলেনের ব্যানকুয়েট হলে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে। পরে সম্মেলন কেন্দ্রর শিনজু হলে জি-৭ শীর্ষ সম্মলনের আউটরিচ সেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে অন্যতম বক্তা থাকবেন তিনি।

এর আগে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট নং বিজি ১০৭৮ যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট ছেড়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আর জাপানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটা নাগাদ সরাসরি গিয়ে নামবেন দেশটির নাগোয়া প্রদেশের চুবু সেন্ট্রায়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন জাপান সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিজ মিকি ইয়ামাদা ও টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ রাবাব ফাতিমা। ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক, অর্থনৈতিক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, অপর সিনিয়র সচিব ও সদস্য জিইডি অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ। এছাড়া সংবাদকর্মী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের একটি বড় দল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।

সম্মেলন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা নাগোয়ার হোটেল হিলটনে অবস্থান করবেন। সেখান থেকেই কাশিকো দ্বীপের শিমা পেনিনসুলায় যাবেন মূল সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দিতে। সম্মেলন কেন্দ্রের শিনজু হলে আউটরিচের দুটি অধিবেশনেই অংশ নেওয়ার পর ওইদিনই শিমা কানকো হোটেলে যুক্তরাজে্যর প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করে হোটেলে ফিরবেন তিনি।

পরের দিন শনিবার সকাল ৯টায় একই হোটেলে অবস্থানরত শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রিসেনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সকাল ১০টা তিনি মিলিত হবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে। ম্যারিওট অ্যাসোসিয়া হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ওই দিন দুপুর সোয়া ১২টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনযোগে নাগোয়া থেকে টোকিওর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সোয়া দুইটা নাগাদ টোকিও পৌঁছে উঠবেন ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে। সেদিন বিকেলে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সফরের শেষ দিন ২৯ মে সকালে হোটেল ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টালের লিডেন কক্ষে জাপানের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে প্রাতঃরাশ বৈঠক করবেন তিনি। এ সময় এফবিসিসিআই ও জোটরোর মধ্যে হতে যাওয়া সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেবেন জাপানের এনএইচকে ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড ডমেস্টিক সার্ভিসের সাংবাদিক মিজ কিয়োকো ফুজিতা।

পরে বিকেলে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলের পিকক হলে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। যার মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনের জাপান সফর কর্মসূচি। ওই দিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় হামেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি ১০৭৯ এ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন।

ঢাকার স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।


শেয়ার করুন