সম্প্রীতির মিলনমেলা হবে সমুদ্র তীরে : দূর্গাপূজায় নাশকতার আশঙ্কা নেই

পুলিশসিটিএন ২৪ ডট কম :

১৯ অক্টোবর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শারদিয় দুর্গাপূজায় কোন ধরণের নাশকতা কিংবা আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা নেই। এজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলাব্যাপী মন্ডপভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাথে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নিয়োগ করেছে জেলা পুলিশ।

১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এ কথা জানান। তিনি বলেন, দূর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কর্মী নিয়োজিত করেছি। সদর এলাকার ৪০টিসহ জেলার ২৭৬টি মন্ডপেই কমিউনিটি পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় ও পুজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এতে কোন ধরণের নাশকতার আশঙ্কা নেই। দূর্গাপুজায় অতীতের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলা বসবে কক্সবাজার সমুদ্র তীরে। এ বন্ধনে এগিয়ে যাবে কক্সবাজার।

শহরের আবু সেন্টারস্থ জেলা কমিউনিটি পুলিশের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভাটি হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিটি পুলিশের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর উদয় শংকর পাল মিঠু, প্রচার সম্পাদক আসিফ উল-মওলা, জেলা কমিটির সদস্য নুরুচ্ছফা সিদ্দিকী, মাস্টার মুজিবুর রহমান, সদরের সভাপতি এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, শহরের সভাপতি মিজানুর রহমান।

প্রসঙ্গত, জেলায় মোট ২৭৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার পৌরসভা-সদর উপজেলায় ৪০টি প্রতিমা ও ৩২টি ঘট, রামু উপজেলায় ১৮টি প্রতিমা ও ৯টি ঘট, চকরিয়া পৌরসভা-উপজেলায় ৪১টি প্রতিমা ও ৩৫টি ঘট, পেকুয়া উপজেলায় ১১টি প্রতিমা ও ৬টি ঘট, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১২টি প্রতিমা ও ২৭টি ঘট, মহেশখালী উপজেলায় ১টি প্রতিমা ও ৩১টি ঘট, উখিয়া উপজেলায় ৫টি প্রতিমা ও ৮টি ঘট এবং টেকনাফ উপজেলায় ৫টি প্রতিমা পূজার মন্ডপ স্থাপিত হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৬টি পূজা মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

২৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৩টায় কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতে ‘প্রতিমা বিসর্জন’ করা হবে। এর আগে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে উম্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


শেয়ার করুন