সমুদ্র সৈকতে বেপরোয়া চলাচল নিষিদ্ধ স্পীড বোটের

indexবিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অসাধু স্পীড বোট ব্যবসায়ি ফরিদুল আলম দুধু সরকারি নির্দেশনা আমলে নিচ্ছেন না। যে কারণে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও সৈকতের কলাতলি পয়েন্টে প্রকাশ্যে বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাণিজ্যিক স্পীড বোট। ফলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও পর্যটকসহ সচেতন মহলে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
২০১৪ সালে এই ফরিদের স্পীড বোটের ধাক্কায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বগুড়া জেলার পর্যটক তাজুল ইসলাম (২৫) নিহত হওয়ার পর সৈকতে স্পীডবোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো করে।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলি ও হিমছড়ি পয়েন্টের সুইমিং জোনে স্পীডবোট গুলো বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে আসছিল। এতে করে দিন-দিন পর্যটকসহ দর্শনার্থিদের অবাধে সৈকতে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ে। এসব বিষয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশ এবং প্রশাসনিক তেমন কোন তদারকি ছিল না।
২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল সকালে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে স্পীডবোটের ধাক্কায় তাজুল ইসলাম (২৫) নামের এক পর্যটক নিহত হন। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরাইল এলাকার নজরুল ইসলাম মানিকের ছেলে এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এ ঘটনায় স্পীড বোট মালিক ফরিদুল আলম (দুদু) আটক না হলেও পুলিশ স্পীডবোটসহ চালক খুরুশকুল ইউনিয়নের কালামিয়ার ছেলে জহির (২২)’ কে আটক করেন। এঘটনায় মামলাও হয়। একই বছর ১৯ মার্চও ওই ফরিদুল আলমের স্পীড বোট’র ধাক্কায় ৫ জন পর্যটক আহত হয়। এঘটনার পর পুরো জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির একটি সুত্র জানিয়েছেন, পর্যটকসহ দর্শনার্থিদের অবাধে সৈকতে চলাচল ও স্বাচ্ছন্দ্যে সুইমিং জোনে গোলস করতে যাতে পারে সে জন্য সমুদ্র সৈকতে স্পীড বোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তৎসময় থেকে বর্তমানেও সুইমিং জোনগুলোতে স্পীড বোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। তবে ওয়াটার বাইকগুলো চালানোর অনুমতি রয়েছে।
এদিকে, চলতি পর্যটন মৌসুমে বাহারছড়া এলাকার অধিবাসি ফরিদুল আলম (দুদু) নামের এক যুবক গত কিছুদিন পূর্বে প্রথমে সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে বাণিজ্যিক স্পীড বোট নামান। সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে স্পীড বোট ভাড়াদিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। সেখানেও ২ জন পর্যটক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে কলাতলি সমুদ্র সৈকত পয়েন্টে স্পীড বোড অবাধে চালাচ্ছে ওই ফরিদুল আলম। কোন ক্ষমতার দাপটে এধনের প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সমুদ্র সৈকতে এই অসাধু ব্যবসায়ি ফরিদুল আলম ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনিক লোকজনদের মাসোহারা দিয়ে অবৈধ স্পীড বোট ব্যবসা করে চলেছে।
এব্যাপারে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সৈকতের কলাতলি পয়েন্ট স্পীড বোট চালানো হচ্ছে তা জানা নেই, সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।


শেয়ার করুন