মায়ের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দুঃখ প্রকাশ করলেন সাংবাদিক আনছার হোসেন

sffwwwবার্তা পরিবেশক

কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান এবং দৈনিক আমার দেশ, অনলাইন নিউজ এজেন্সী আরটিএনএন ও সিটিজি নিউজের কক্সবাজার প্রতিনিধি আনছার হোসেন তার মায়ের ইন্তেকালের পর শোক প্রকাশ, আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সহমর্মী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বিবৃতিতে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, মানুষের ভালোবাসার এই ঋণ শোধ করার মতো নয়।
বিবৃতিটি হুবুহু তুলে ধরা হলো –
মানুষের ভালোবাসা কী মাপা যায়!
আমি কিন্তু মাপতে পারছি না! কোন কূলও পাচ্ছি না!
গত ৬ জুলাই ২০১৫, সোমবার আমার মা ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর এই ইন্তেকালের পরই বুঝতে পারলাম ‘ক্ষুদ্র মানুষ’ এই আমাকে কতো কতো মানুষ ভালোবাসেন!
আম্মার ইন্তেকালের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা গুলিতে ‘শোক’ আর ‘সমবেদনা’ জানানোর যেন জোয়ার লেগেছে। এদের মাঝে আমার পরিচিতজন যেমন রয়েছেন তেমনি অগণিত অপরিচিতজন রয়েছেন, যাদের সাথে হয়তো আমার কখনোই দেখা হয়নি, পরিচয় হয়নি!
মায়ের মৃত্যুর খবর কতজনকেই তো জানাতে পারিনি। অথচ আম্মার নামাজে জানাযায় সেই চেনা অচেনা সবাই হাজির! কোন প্রচারণা ছাড়াই মায়ের জানাযায় যুক্ত হলেন কয়েক হাজার মানুষ!
এটি কী ভালোবাসা নয়!
আমার চেনা অচেনা শত শত শুভাকাঙ্ক্ষী ফেইসবুকে কমেন্ট করে, পত্রিকায় বিবৃতি পাঠিয়ে মায়ের আত্মার মাগফেরাত, বেহেশত নসিবের দোয়া কামনা এবং আমি ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ করে ফেলেছেন।
আমি এই ঋণ কিভাবে শোধ করি!
ভালোবাসার ঋণ কী শোধ করা যায়!
সবার জন্য মহান ¯্রষ্টা আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছি। তাদের সবার জীবন যেন শান্তিময় হয়।
ইয়া আল্লাহ! এই নাখান্দা বান্দার দোয়া তুমি কবুল কর।
আমিন। ছুম্মা আমিন।
‎দুঃখতা‬
আম্মার নামাজে জানাযার সময় নিয়ে বিভ্রান্তি হওয়ায় অনেকেই জাযানায় অংশ নিতে পারেননি। যা একান্তই আমাদের ত্রুটি।
প্রথমে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জানাযা হবে আছর নামাজের পর। কিন্তু সেই সময় এগিয়ে এনে করা হয় বাদে জোহর। ওই সময়টা অনেকেই জানতে না পেরে বিকালে এসে ফিরে গেছেন।
সুদূর চকরিয়া থেকে আমিন ভাই (ইবনে আমিন) শুধুমাত্র মায়ের জানাযায় অংশ নিতে বাড়ি পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু জানাযায় অংশ নিতে পারেননি। এই দুঃখ আমি ভুলতে পারছি না!
খরুলিয়ার মোস্তফা ভাইসহ পরিচিত অনেকেই বিকেলে এসে ফিরে গেছেন।
আপনাদের কাছে এই বিভ্রাটের জন্য ক্ষমা চাইছি!


শেয়ার করুন