রামুর কচ্ছপিয়া......

সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ আহত ৫: আটক ১

Exif_JPEG_420

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শহর আলীরচর গ্রামে পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে একটি পরিবারের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে একদল চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ নারী-পুরুষ গুরুত্বর আহত হয়েছে। পরে, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীদের মধ্য থেকে মো.হাসান নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলার পরপরই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এখন গ্রামের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বসতভিটায় একই এলাকার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল চিহ্নিত ও কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রবেশ করেন। এর পর বিনাকারণে অকথ্যভাষায় তারা গালি গালাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিক এর সামান্য প্রতিবাদ জানাতেই হামলার সূত্রপাত হয়।
মফিজুর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলাম, নুর উদ্দিনের ছেলে মো.হোছন, আহসান উল্লাহর ছেলে ছব্বির আহমদ, ফুরোখ আহমদের ছেলে মো.ইসহাক, নুরুল ইসলামের ছেলে হামিদুল আলম সহ বেশ কিছু বহিরাগত ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর কিরিচ, ছুরিসহ বিবিধ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে উপর্যুপরি হামলা চালায়।
হামলায় জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আবদুল মন্নান (২৫), ছোট ভাই মনির আহাম্মদ (৪০), আবু তাহের (৩৮), জেটাত ভাই ফরিদ আহমদ (৩৫) এবং স্ত্রী রোকশানা আকতার (৪৫) গুরুত্বর আহত হন। এসময় তাদের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মূমুর্ষ অবস্থায় আহতদের দ্রুত উদ্ধারপূর্বক রামু হাসপাতালে নিয়া যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। আহতদের মধ্যে মনির আহমদ ও আবদুল মন্নানের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। তারা এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জাফর আলম বলেন, নুরুল ইসলামের সঙ্গে আমার বাড়িভিটা নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বসতভিটা থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মূল্যবান গাছ নিধন করেছিল। এ ঘটনা এখনো বিচারাধিন রয়েছে। কিন্তু তারা আইন না মেনে ভাড়াটে লোক নিয়ে উক্ত ঘটনার জের ধরেই বরবর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।


শেয়ার করুন