মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ

সদরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭’র বর্নাঢ্য উদ্ধোধন


“মাছ চাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলা সদরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭’র বর্নাঢ্য উদ্ধোধন করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সারাদেশের মত কক্সবাজারেও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০১৭’র সপ্তাহব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯ জুন (বুধবার) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭’র উদ্ধোধন ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবদুল আলীম’র স্বাগতঃ বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম মজুমদার, র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তা মোঃ মহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ হুমায়ুন রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রহিম উদ্দীন, জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, একুয়া হ্যাচারী সাপ্লাইয়ারস এসোসিয়েশনের সভাপতি জাফর আলম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি রবি জলদাশ প্রমূখ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ড. মঈন উদ্দিন আহমদ’র সঞ্চালনায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মোট প্রাণীজ আমিষের ৬০% যোগান দিচ্ছে মৎস্য খাত। দেশের মোট জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ৩.৬৫% উল্লেখ করে তারা আরো বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। অনুষ্ঠানশেষে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার জেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আব্দুল আলীম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। তিন দিকে সমুদ্র বেষ্টিত কক্সবাজার জেলায় মৎস্য চাষ ও উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা এ.কে.এম. মোখলেছুর রহমান, বাংলাদেশের মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কক্সবাজার সামুদ্রিক মাৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ শফিকুর রহমান, ও কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ শরিফুল ইসলাম সহ আরো বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সাগরে মৎস্য আহরণকালে নিহত ৪ জন জেলের অসহায় পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বর্ণাঢ্য সড়ক র‌্যালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল শৈবালে এসে শেষ হয় এবং তথায় সাগরিকা লেকে মাছের পোনা অবমুক্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এতে জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি, শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, তেলাপিয়া একম মৎস্য চাষী সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতি, বরফ কল মালিক সমিতি, চিংড়ি ঘের মালিক সমিতি এবং রামপুর ১০ একর ও ১১ একর চিংড়ি প্লট মালিক সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের জনগোষ্ঠীরা ব্যানার সহযোগে এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী শেষে আগামী ২৪ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে।


শেয়ার করুন