সদরের পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর ১০ গ্রাম প্লাবিত

13592554_1139531672754666_2033183777249064065_n-575x323

কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে নোনা জল লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। অমাবস্যার জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এলাকাগুলোর হাজারো মানুষ নোনা পানিতে বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মৎস্য ঘের। হাজার হাজার একর ফসলী জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জোয়ার-ভাটার বৃত্তে বন্দি হয়ে পড়া মানুষগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নৌকাই এখন এলাকার প্রধান বাহন হয়েছে। এই ১০ পাড়ায় সরকারী বা প্রাইভেট কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় স্থানীয় ঔষুধের দোকান গুলোই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার শেষ ভরসা ।
স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের যোগাযোগ উন্নত গোমাতলী বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে নিয়মিত জোয়ারে পানি যাতায়তের কারণে প্রধান সড়কটিও বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে বর্তমানে গোমাতলীর জনসাধরণ জেলা শহর কিংবা বৃহত্তর ঈদগাওয়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তারা আরো জানান, গত ২১ মে ঘূর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে পোকখালী গোমাতলী এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ভাঙন বেড়িবাঁধ দিয়ে অমাবস্যার জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জরীপ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ ক্ষতির রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে অমাবষ্যার জোয়ারেও পূনরায় প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকা।

13567016_1139531746087992_5984707428677918713_n-768x461

স্থানীয় অধিবাসি আবদুল্লাহ খান বলেন, গোমাতলী এলাকায় ঘূর্নিঝড় রোয়ানুর সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর মেরামত না করায় গত রবিরার দুপুরে ভাঙা স্থান দিয়ে নোনাজল গ্রামাঞ্চলে ঢুকে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়।
সোমবার দুপুরে চলতি অমাবশ্যার জোয়ারে আবারো নোনাজলে ভরে গেছে। এতে শত শত একর ফসলি জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। পূনঃপ্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণকারী সরকারি ও এনজিওগুলোর তালিকাভূক্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকট জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ পৌছে দেয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্লাবিত এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামোর সড়ক ও সড়ক বিভাগের ১৫ কিলোমিটার সড়ক জোয়ারের পানির তোড়ে বিধবস্ত হয়েছে ।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দা শহিদুল্লাহ জানান, অমাবষ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে নোনা জলে প্লাবিত জমিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভাঙন বেড়িবাঁধ মেরামত না করলে হাজার হাজার একর ফসলি অনাবাদি হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসি জানায়, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে বেড়িবাধঁ বিলীন হওয়ায় গত ২দিন ধরে অমাবষ্যার জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাগরের লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়।
এভাবে প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাঁটা চলতে থাকলে এসব এলাকায় লোকজন বাস্তহারা হয়ে যাবে। আগামী পূর্ণিমার জোয়ারের আগে বিলীন হওয়া বেড়িবাধঁ জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও সরকারের উর্ধবতন কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্ঠি আকর্ষন করেন।


শেয়ার করুন