সজল নয়নে ছেলেকে চিরবিদায়

বাংলামেইল: 

Khaleda-Zia-1গুলশানে নিজ কার্যালয়ে ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে চোখের জলে বিদায় জানালেন শোকে মুহ্যমান মা খালেদা জিয়া ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। মরদেহকে পাশে রেখে খালেদার মোনাজাতের পর কোকোর মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ আসর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ১টা ৪৮ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ নামানো হয়। সোয়া ২টায় ছেলের লাশ দেখতে নিচে নামেন খালেদা জিয়া। হৃদয়ের সবটুকু স্নেহ ঢেলে দিয়ে বরণ করে নেন নাড়িছেঁড়া ধনকে। তবে যে কোকোকে আজ তিনি কাছে পেলেন তা তিনি চাননি কখনো।

কফিনে থাকা ছেলের মুখে হাত রেখে বেশ কিছুক্ষণ কাঁদেন খালেদা জিয়া। তারপর দুই হাত তুলে ছেলের জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন। তার সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হন পাশে থাকা সবাই। প্রায় ১৫ মিনিট ছেলের পাশে অবস্থান করেন খালেদা জিয়া।

সেখান থেকে বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় মা খালেদা জিয়া অশ্রুসজল নয়নে গুলশান কার্যালয়ের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছেলেকে চিরবিদায় জানান।

এদিকে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ১০২ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। লাশের সঙ্গে ছিলেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু।

বিমানবন্দরে কোকোর মরদেহ গ্রহণ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কোকোর চাচাতো ভাই মাহবুব রহমান ডিউ ও তার স্ত্রীর ছোট ভাই।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবং আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরীও মরদেহ গ্রহণের জন্য বিমানবন্দরে যান।


শেয়ার করুন