সংবাদ সংগ্রহে শরণার্থী এক বৃদ্ধকে লাথি , চাকরি গেল নারী সাংবাদিকের

2_82650_1সিটিএন ডেস্ক :

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শরণার্থী ইস্যুতে উত্তাল সারা বিশ্ব। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ  হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছে সহায়-সম্বলহীন এসব অভিবাসীদের। অনেক দেশ এরই মধ্যে শরণার্থী আশ্রয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন। তবে এমন পরিস্থিতি বর্বর কা- ঘটিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন হাঙ্গেরির এক নারী ফটো সাংবাদিক।
সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে আইনালের সেই ছবি। তারও স্রষ্টা ছিলেন তুর্কি নারী ফটো সাংবাদিক নিলুফার। তবে হাঙ্গেরির এনওয়ান টিভি চ্যানেলের ওই সাংবাদিক শরণার্থী এক বৃদ্ধ পিতাকে লাথি দিয়ে ঘটালেন বিপত্তি। নিন্দিত হচ্ছেন সারা বিশ্বে।

 কর্মীর এহেন আচরণে হতম্বভ স্বয়ং টেলিভিশন চ্যানেলটি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
কয়েকশ শরণার্থী হাঙ্গেরির বাধা উপেক্ষা করে হেঁটেই সীমান্ত পাড়ি দেয়। এসব অভিবাসীদের ঢল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শরণার্থী ওই বাবা তার ছেলেকে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পেট্রা লাসজলো নামের ওই ফটো সাংবাদিক শরণার্থীদের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রোসজকে নামক এলাকায়। সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী ওই অঞ্চলটি দিয়েই হ্যাঙ্গেরিতে প্রবেশ করে থাকে শরণার্থীরা। সেখানে অবৈধভাবে প্রবেশকারী হাজার খানেক শরণার্থীদের ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

3_82650_2পুলিশি বেষ্টনি থেকে পালিয়ে আসেন তাদেরই কয়েকজন। ছুটে বেরিয়ে আসার সময় শিশু কোলে এক পুরুষকে সজোরে ধাক্কা মারেন পেট্রা। এতে তার কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুটি। মাটিতে পড়ে যান শিশুটির বাবাও। এখানেই শেষ নয়। পরে ওই ফটো সাংবাদিক আরো এক শরণার্থী শিশুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন।

দুঃখ প্রকাশ করে চ্যানেলটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের একজন সহকর্মী রোসজকে এলাকায় ছবি তুলতে গিয়ে আজ যে আচরণ করেছেন তা মেনে নেয়া যায়না। আজ থেকে ওই নারী ফটো সাংবাদিকের নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আশা করছি বিষয়টি এখানেই থেমে যাবে।’
এই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ার পর টুইটারে নিন্দার ঝড় উঠেছে। টুইটার ব্যবহারকারীরা ক্যামেরাপারসনের এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে ক্ষমা দাবি করেছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে এটিই প্রমাণ হয় যে, হাঙ্গেরির বেশির ভাগ সাংবাদিক দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ভিক্টর শরণার্থীদের আশ্রয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।4_82650_3
ইরানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংবাদিক সানাম শান্টিয়াই এই দৃশ্যকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। অনেকে এনওয়ান চ্যানেল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন