৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা

সংগীতায়তনকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
শুদ্ধ মানুষ, পরিশুদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের জন্য কক্সবাজারের মতো শিল্প-সংস্কৃতির পশ্চাৎপদ অঞ্চলে সংগীতায়তনের মতো সংগঠনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গত শতাব্দীর ৬০ দশকে এতদঞ্চলের শিল্প সংস্কৃতির রুদ্ধদ্বার উন্মোচন করেন একজন স্বপ্নবান সংস্কৃতিজন ওস্তাদ স, ম, আবু বকর সিদ্দিকী। আর ওই রুদ্ধদ্বার খোলে দিয়েছিলেন সংগীতায়তন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সংগীতায়তন এতদঞ্চলে কিছু শিল্পীই তৈরি করেনি, অজস্র মানবিক মূল্যবোধ উদ্দীপ্ত সংস্কৃতি কর্মীও সৃষ্টি করেছে। যারা বর্তমান সমাজকে আলোকিত করছে।

এতদঞ্চলের প্রথম শুদ্ধ সংগীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান সংগীতায়তনের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সুধীজনেরা সংগীতায়তনের বিষয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।

গত রোববার রাত ৮ টায় সংগীতায়তনের লালদিঘীর পশ্চিম পাড়স্থ বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত নিজস্ব মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী, মোহাম্মদ সেলিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী শামীমা আকতার এর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুপুর বড়ুয়া।

আলোচনায় অংশ নেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংগঠনের সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বিশিষ্ট সংগঠক ও সংস্কৃতিজন আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের সদস্য, সংস্কৃতি কর্মী ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, দৈনিক কক্সবাজারের পরিচালনা সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী আইনজীবী প্রতিভা দাশ, কক্সবাজার জেলা কালচারাল অফিসার সুদীপ্তা চক্রবর্তী, কক্সবাজার সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক শারমিন সিদ্দিকী লীনা প্রমুখ।

আলোচকেরা আরও বলেন, সংগীতায়তনকে একটি পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগে কক্সবাজারের সকল নাগরিকদের পৃষ্ঠপোষকতা আহবান জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রবীণ সদস্য আইনজীবী আবুল কালাম আজাদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি রায়হান উদ্দিন, আবু হায়দার ওসমানী, নুপুর বড়ুয়া, তালেব মাহমুদ, সেলিম মোহাম্মদ রুবেল, নিপা ভট্টাচার্য ও মিথীলা। যন্ত্র সংগীতে ছিলেন কী-বোর্ডের তারেক হাসান, তবলায় রাখাল দাশ, গিটারে জুলফিকার আলী।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সংগঠনের সংগঠক-কর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক কাটেন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক, বিশিষ্ট বংশীবাদক শফি উদ্দিন মিথুন, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস প্রমুখ।


শেয়ার করুন